বিদেশ

লিবিয়ায় অবিরাম সংঘর্ষ ও অশান্তির আগুণ নির্বাপণে জরুরী বৈঠক এরদোগান -পুতিন সহ বিশ্বনেতাদের।


শাশ্বতী ঘোষাল :চিন্তন নিউজ:২১ শে জানুয়ারি:–গত নয় মাস ধরে লিবিয়ায় লেগে রয়েছে অবিরাম যুদ্ধ। আর তার অবশ্যম্ভাবী পরিণতিতে লিবিয়ার শান্তি হচ্ছে বিঘ্নিত লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকার (জিএনএ) প্রধান ফয়েজ আল-সররাজ এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি কমাণ্ডার (এলএনএ) খলিফা হাফতার বাহিনীর মধ্যে চলছে সংঘর্ষ।

গত রবিবার লিবিয়ায় স্থায়ী যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করা ও প্রতিনিয়ত যে সংকটের মুখোমুখি তারা হচ্ছে তার যথার্থ সমাধানের জন্য যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে নিয়ে বিশ্বনেতারা এক বৈঠক করেন।সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল।তাঁর ও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তিনিও গুতেরেসের যৌথ সভাপতিত্বে এই বৈঠক হয়। রোববার সম্মেলনটি শুরু হয়। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এই জরুরী বৈঠকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সহ বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদের উপস্থিতি ঘটে।

বার্লিনের চ্যান্সেলর ভবনে আয়োজিত এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ছিল, বিবদমান পক্ষগুলির মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে যে গৃহযুদ্ধ ও হানাহানি চলছে তার অবসান ঘটানো এ ছাড়া লিবিয়ায় সম্প্রতি গৃহিত যুদ্ধ বিরতিকে সুসংহত করা ও বিবদমান পক্ষগুলির মধ্যে যুদ্ধ বিরতি র বিষয়ে একমত হওয়া।

পূর্বে ও লিবিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয় কিন্তু তা ভেস্তে যায়। ফলে বিষয়টি নিয়ে পুনর্বার আলোচনার উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনের সূচনা করা হয়। লিবিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতারা একমত হয়েছেন। গৃহযুদ্ধে অবৈধ বিদেশী হস্তক্ষেপের ইতি টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।প্রতিশ্রুতি যাতে বাস্তবায়িত হয় সেজন্য যুদ্ধরত পক্ষগুলোর ওপর অস্ত্র ক্রয়ের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল জানিয়েছেন কোনো সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উপায়ে লিবিয়া সংকটের সমাধান চান তিনি। সম্মেলন শেষে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, “লিবিয়ার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বনেতারা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। “

এই সম্মেলন থেকে স্থায়ী কোনো সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকলেও এর মাধ্যমে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আশা প্রকাশ করেছে জার্মান সরকার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।