জেলা

শহরে বাড়ছে শুয়োরের উপদ্রব, নিস্তার চায় পৌরবাসী, মাসিক সভা না হওয়ার কারণে কোনো কথা তুলে ধরতে পারছেন না তারা অভিযোগ বিরোধী কাউন্সিলরদের।


দীপশুভ্র সান্যাল,চিন্তন নিউজ:- ২৬/০৭/২০২৪:- জলপাইগুড়িতে ফের শুয়োরের উপদ্রবে নাজেহাল অবস্থা পৌর নাগরিকদের বিগত পৌর বোর্ডের আমলে রাজ্য জুড়ে এমপিফেলাইটিসের বাড়বাড়ন্তের সময় ২০১৭ সালে শহরে শেষ শুয়োর ধরার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তারপর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা।বেশ কয়েকদিন থেকে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে ১১,১২,১৩,১৪,১৫ নম্বর ওয়ার্ড সহ রেল লাইনের ধারে অন্যান্য এলাকায় শুয়োরের উপদ্রপ বেড়েই চলেছে। শুয়োরের উপদ্রবের কারণে মানুষের বাড়ির সামনে থাকা ফুলবাগান মাঠ ড্রেনের অবস্থা শোচনীয়। শুয়োর মাটি খুলে নষ্ট করে দিচ্ছে ওইসব জায়গা।কারণ মাঠে ঘাটে যেখানে সেখানে শুয়োর মাটি কেটে নষ্ট করায় অসুস্থ ওই সমস্ত ওয়ার্ডের পৌর নাগরিকরা।।সাথে পরিবেশ দূষণ ও করছে।আর এর থেকে বাঁচতে জলপাইগুড়ি পৌরসভার কাছে সাধারণ পৌরবাসীর আবেদন শুয়োরের উপদ্রব থেকে রেহাই দিতে।যদিও বেশ কয়েক বছর আগে জলপাইগুড়ি পৌরসভার উদ্যোগে শুয়োরের উপদ্রব কমানোর জন্য শুয়র পোষা বন্ধ করতে উদ্যোগ রাস্তায় শুয়োর দেখলে তুলে নিয়ে যাওয়া শুরু করা হয়েছিল কিন্তু সেই প্রক্রিয়া বন্ধ প্রায় ৭ বছর। এরপরে বেশকয়েক বছর শান্তিতে বসবাস করেছিলেন পৌর নাগরিকরা। কিন্তু ফের শুয়োরের অত্যাচারে নাজেহাল হতে হচ্ছে সাধারণ পৌর নাগরিকদের। অবিলম্বে এর থেকে নিস্তার চান তারা।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবিন সরকার অভিযোগ করেন বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে ফুল গাছ লাগিয়েছিলেন। শুয়োর ঢুকে বেড়া ভেঙে চারিদিকে মাটি খুঁড়ে সমস্ত বাগান নষ্ট করে দিয়েছে। বাড়ির সামনে নর্দমায় প্রতিদিন শুয়োরের দাপাদাপিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে এলাকার মানুষদের বারবার পৌরসভার কাউন্সিলরকে জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
শহরের আনন্দ পাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রাথমিক শিক্ষক জয়দীপ মুখার্জী অভিযোগ করেন শহরের রেল লাইনের দু’ধারের ওয়ার্ডগুলিতে শুয়োরের উপদ্রব আবার বেড়েছে। কিছুদিন ধরে জলপাইগুড়ি পৌরসভার চেয়ারপারসন পাপিয়া পালের ওয়ার্ড ১৭ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায় শুয়োরের উপদ্রব কিছুটা কমেছে তবে সে ক্ষেত্রে পৌরসভার কোন ভূমিকা নেই এলাকায় শুয়োরের বাচ্চাদের ছিরে খেয়েছিল এলাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুররা তারপর থেকে কুকুরের ভয়ে আর এলাকায় শুয়োরের দেখা মিলছে না।
১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর জলপাইগুড়ি সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য প্রদীপ দে অবশ্য জানান আগে শহর জুড়ে শুয়োরের উপদ্রব দাপাদাপি ছিল এখন শহরের কয়েকটা মাত্র ওয়ার্ডে শুয়োর ঘুরে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে। তবে এখনই পৌরসভা ব্যবস্থা না নিলে আগামীতে শুয়োর বাহিত এনকেফেলাইটিস সহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে জলপাইগুড়ি শহরে।
জলপাইগুড়ি পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি অভিযোগ করেন জলপাইগুড়ি পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে মাসিক সভা হয় না। কোনরকম উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা সহ কোন আলোচনা কোন কাউন্সিলরের থেকে না শুনে দু-একজন পৌর আধিকারিক এবং পৌরপতি সহ দু একজন চেয়ারম্যানের কাউন্সিল পৌরসভা চালাচ্ছেন নিজেদের মতো করে। শহরের শুয়োরের উপদ্রব বাড়ছে, আমরাও সে সম্পর্কে অবহিত
কিন্তু মাসিক সভা না হওয়ার কারণে আমরা শহরের মানুষের দুর্দশার কথা পৌরসভায় তুলে ধরতে পারছি না। বর্ষায় কারনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার কাজ থমকে আছে বলে পৌর কর্তৃপক্ষ জানালেও চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল পূর্ত বিভাগের নিজের ওয়ার্ডে গ্লাস হাউসের রাস্তা এই ভরা বর্ষায় পিচ ঢেলে তৈরি করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি পৌরসভায়
একমাত্র বামপন্থী কাউন্সিলর সিপিআইএমের সঞ্চিতা পঞ্চানন ধর অভিযোগ করেন
শহরের শুয়োরের উপদ্র ব মশার উপদ্রব বেড়েছে জমা জলের সমস্যার কারণে সঠিক সময় ব্রেন পরিষ্কার না হওয়ার কারণে শহরে রোগের প্রাদুর্ভাব বাঁচতে পারে কিন্তু মাসিক সভা না হওয়ার কারণে আমরা জলপাইগুড়ি পৌর নাগরিকদের এই অসুবিধার কথাগুলি পৌরসভায় তুলে ধরতে পারছি না পৌরসভার চেয়ারপার্সন ,উপ পৌরপতি চেয়ারম্যান কাউন্সিলকে বিষয়গুলি জানালে তারা দেখছি দেখব করে ছেড়ে দেন আদতে কোন কাজ হয় না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।