দেশ

কেন্দ্রীয় বাজেট এর থেকেও বেশি সম্পত্তির অধিকারী দেশের ৬৩ জন ধনকুবের।


স্বাতী শীল:চিন্তন নিউজ:২২শে জানুয়ারি:–দেশে ধনী-দরিদ্র্যের ভেদাভেদ যে ঠিক কতটা স্পষ্ট তা আরো একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দারিদ্র বিরোধী আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা অক্সফ্যামএর প্রতিবেদন। ভারতের মাত্র ১% সবথেকে বেশি বিত্তশালী নাগরিকের সম্পদ দরিদ্রতম ৯৫ কোটি ৩০ লক্ষেরও বেশি মানুষের সর্বমোট অর্থের চার গুণেরও বেশি। শুধু তাই না ২০১৮-১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেটে যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার তুলনায় সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেশি ভারতের ৬৩ জন ধনকুবেরের এমনটাই দাবি করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পঞ্চাশতম বার্ষিক সভার আগে নিজেদের রিপোর্ট পেশ করেছে অক্সফ্যাম।তারা সমীক্ষাটির নাম দিয়েছেন টাইম টুু কেয়ার (Time to Care)

এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে যে সমগ্র বিশ্বের ২,১৫৩ জন ধনকুবেরের মোট অর্থের পরিমাণ ৪.৬ বিলিয়ন মানুষের থেকেও বেশি অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৬০% এর থেকে বেশি এই মুষ্টিমেয় ধনকুবেরের আর্থিক সম্পদ।

এই রিপোর্ট আরও দাবি করেছে আর্থিক অসাম্য বিশ্বজুড়েই অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে,কিন্তু এই অসাম্য দূর করার ক্ষেত্রে সরকার কোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে তৎপর নয়।অসাম্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে সঠিক ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে ধনী-দরিদ্রের এই ব্যবধান কখনই কম হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অক্সফ্যাম ইন্ডিয়ার সি ই ও অমিতাভ বেহেরা। তবে গত ১০ বছরে বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা দ্বিগুণ হলেও তাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে বলে মনে করে এই রিপোর্ট।

২০১৮-১৯আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ হয় মোট ২৪,৪২,২০০ কোটি টাকা।অথচ ভারতের ৬৩ জন ধনকুবেরের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এর থেকেও অনেক বেশি।অর্থনীতির অসমতাকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের বিশেষত দরিদ্র নারী এবং শিশুদের পরিশ্রমের বিনিময়ে এই বিপুল সম্পদ বানিয়েছে এই মুষ্টিমেয় ধনী সম্প্রদায়,রিপোর্ট এমনটাই দাবি করেছে।

সমীক্ষায় আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।ভারতীয় মহিলারা প্রতিদিন ৪ কোটি ঘন্টার বেশি শ্রম দেন সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে। ভারতীয় অর্থনীতিতে তাদের অবদান বছরে অন্তত ১৯লক্ষ কোটি টাকা, যা ২০১৯ সালের দেশের মোট শিক্ষাসংক্রান্ত বাজেটের কুড়ি গুণ।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।