রত্না দাস: চিন্তন নিউজ:১৩মে:- ব্যাঙ্গালুরুতে লকডাউন এর কারনে আটকে পড়ে কিছু অভিবাসী শ্রমিক। এই শ্রমিকরা বিল্ডারদের আন্ডারে ঞ্জঞ্জ করছিল। লকডাউনে শ্রমিকরা থাকা-খাওয়ার সমস্যায় পড়ে। বিল্ডাররা তাদের ঙ্গ সাহায্য করতে অস্বীকার করে। তাদের এই সমস্যা দেখে tT ও জিয়া নোমানী নামে দুই সমাজকর্মী শ্রমিকদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসে।
বেঙ্গালুরুতে আটকে পড়া নির্মাণ শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে সাহায্য করার জন্য তাদের ট্রেনের টিকিট বুকিং করে দিচ্ছিলেন ‘স্বরাজ অভিযান’ সংগঠনের এই দুই সদস্য। নোমানীর কথায়, ‘লকডাউন এর শুরু থেকেই বিএল কাশ্যপ লেবার ক্যাম্পের নির্মাণ শ্রমিকদের খাদ্য ও রেশন দিয়ে সাহায্য করে আসছে ‘স্বরাজ অভিযান’ নামক সংস্থাটি। এখানে কাজ করা নির্মাণ শ্রমিক যখন জানতে পারে তাদের নিজেদের শহরে ট্রেন যাচ্ছে তখন এরা বাড়ি ফিরতে চাইলেন।’সেবা সিন্ধু’ অ্যাপের সাহায্যে এদের নাম রেজিস্টার করে এদের সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় এই সংস্থা।
কিন্তু গতকাল দু’জন পুলিশ কর্মী ‘স্বরাজ – অভিযান’সংস্থাকে জানালেন যে,দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই শ্রমিকরা তাদের অধীনে কাজ করতেন সেই বিল্ডারদের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুই সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ধারায় (দাঙ্গা লাগানোর উদ্দেশ্যে উস্কানি দেওয়া)এবং ১৮৮ধারায় (সরকারি কর্মচারী কর্তৃক ঘোষণা করা আদেশ লঙ্ঘন) মামলা দায়ের করা হয়। তবে মালিকদের এই অভিযোগের প্রতিবাদ করেছেন শ্রমিকরা। তাদের প্রতিবাদের জেরেই কলিমুল্লাহ ও নোমানীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যেতে পারেনি পুলিশ। শ্রমিকদের সহজ প্রশ্ন ,”ওদের গ্রেফতার করলে আমাদের খেতে দেবে কে?”
গত সপ্তাহের বুধবার রেল মন্ত্রকে চিঠি দিয়ে রাজ্যের অভিবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর জন্য নির্ধারিত বিশেষ ট্রেন বাতিল করার অনুরোধ করেছিলেন বিজেপি শাসিত কর্ণাটক সরকার। রাজ্যের বড় বড় বিল্ডারদের সাথে বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউন ওঠার পর কাজ শুরু হলে শ্রমিকরা সঠিক সময়ে ফিরতে পারবেনা এই কারণ দেখিয়ে ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। ট্রেন বাতিল হওয়ার খবরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে কর্ণাটকের বিজেপি সরকার। শুক্রবার থেকে শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য রাজ্যে ট্রেন পরিষেবা চালু করেন ইয়েদুরাপ্পা।