রাজ্য

বিশ্ব মৃত‍্যুদন্ড বিরোধী দিবস
চিন্তনের বিশেষ প্রতিবেদন।


কলমে কৃষ্ণা সাবুই,নিজস্ব প্রতিবেদন:চিন্তন নিউজ: ১০/১০/২০২৩:– মৃত‍্যুদন্ড শুনলেই মনে একটা বেদনার সঞ্চার হয়। মানুষ এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে চায়না।কিন্তু পরিস্থিতি এমন একটা পর্যায় পৌঁছতে পারে তখন মৃত‍্যুই একমাত্র পথ তবে সেটা আইনের দ্বারা স্বীকৃত।কোন ব‍্যক্তির অন‍্যায় যখন সীমাহীন বিচারে তার মৃত‍্যুদন্ড হতেই পারে।অতীতে প্রায় সব দেশেই মৃত‍্যুদন্ড কার্যকর হোতো,বর্তমানে ১৮ টি দেশ এখনও বহাল রেখেছে। কিন্তু অনেক দেশই মৃত‍্যুদন্ডের বিপক্ষে। কোন ব‍্যক্তি যখন মৃত‍্যুদন্ড পায় তখন যতদিন না দন্ডটি কার্যকর হয় তার মানসিকতা কোন পর্যায়ে যেতে পারে ভাবা যায়না।সেই ব‍্যাপারে সাধারন মানুষকে সচেতন করার জন‍্য এই বিশেষ দিনটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা শুরু হয়।২০০৩সালে প্রথম মৃত‍্যুদন্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত তৈরী হোলো। এবং সব দেশ মৃত‍্যুদন্ড রদ হোক এই মর্মে ১০ই অক্টোবর দিনটি স্থির হয়।

দিবসটি আম‍েনেস্টি ইন্টার ন‍্যাশন‍্যাল, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ সহ অসংখ‍্য এন জি ও এবং বিশ্ব সরকার দ্বারা সমর্থিত হয়। সেই থেকেই ১০ ই অক্টোবর দিনটি পালিত হয়ে আসছে।এই দিনটিতে একটি থীম থাকে। মৃত‍্যুদন্ড বা প্রানদন্ড হল আইনি পদ্ধতিতে কোন ব‍্যক্তিকে শাস্তিস্বরুপ হত‍্যা করা। যে সমস্ত অপরাধের শাস্তি হিসেবে সাধারনত মৃত‍্যুদন্ড দেওয়া হয় সেগুলিকে বলা হয় মৃত‍্যুদন্ডার্হ অপরাধ।

তবে মৃত‍্যুদন্ড নিয়ে অনেক বিতর্ক ও আছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মৌলিক অধিকার সনদের ২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির ওপর মৃত‍্যুদন্ড প্রয়োগে নিষেধাজ্ঞা চালু হয়েছে। আজ আ‍্যমেনেস্টি ইন্টার ন‍্যাশন‍্যালের অধিকাংশ দেশকেই মৃত‍্যুদন্ড বিলোপের পক্ষপাতি মনে করে।বিশ্বের ৬০% মানুষ সেইসব দেশে বাস করেন যেখানে মৃত‍্যুদন্ড প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।এরমধ‍্যে রয়েছে গনচীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়া। এই ৪টি দেশই ২০০৮সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারন সভায় রেজোলিউশন অন আমোরোটেরিয়াম অন দা হিউজ অফ দা ডেথ পেনাল্টি এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।এটাই বাস্তবতা, এটাই চলছে।

বিশ্বজুড়ে যে ভয়ংকর হিংসা চলছে সেই ব‍্যাপারে মানুষ আজ দিশেহারা। আমরা আমাদের দেশের দিকে দেখছি অন‍্যায়ের পাহাড় সৃষ্টি হচ্ছে।সমাজের কিছু মানুষ তার উশৃঙ্খলতায় অন‍্যকে মেরে ফেলতে ভয় পায়না।
আমরা দিনের পর দিন দেখছি ধর্ষণ করছে পরে নৃশংস ভাবে খুন করছে, পুড়িয়ে দিচ্ছে।এছাড়া মানুষের নাগরিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।মানবতা ভুলুন্ঠিত। ধর্মের ভেদাভেদে মানুষ আজ নৃশংসভাবে মানুষকে মারছে। এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরী হোক আইন যদি নিজের মত তার ঠিকঠাক ব‍্যবস্থা নেয় তাহলে মানুষ স্বস্তি পায়। কিন্তু সে ব‍্যবস্থাকেও প্রভাবিত করছে, তার ফলে মানুষ সুবিচার পাচ্ছেনা।চরম অন‍্যায় দেখলে মানুষ মৃত‍্যুদন্ডের জন‍্য আবেদন করে।তবে মৃত‍্যুই শেষ হতে পারেনা,মৃত‍্যুদন্ড সমাজ পরিবর্তন করতে পারবেনা। দন্ড দেখে মানুষ যদি মানসিক ভাবে পরিবর্তন হয় তাহলে ভালো। কিন্থু বেপরোয়া মানুষ রাজনৈতিক মদতে খুন খারাপি করছে।এই কারনেই মানুষ মৃত‍্যুদন্ড চায়। মৃত‍্যুদন্ড রদ হোক পরিবর্তে মানুষ কে মানুষ হতে হবে এটাই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।