কলমের খোঁচা

বিশ্ব ব‌ই দিবস


কাকলি চ্যাটার্জি:চিন্তন নিউজ:২৩শে এপ্রিল:-নীরবে চলে গেল একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন—বিশ্ব বই দিবস। ইউনেস্কো প্রথম ১৯৯৫ সালে এই দিনটি পালন শুরু করে। স্পেনের লেখক ভিসেন্ত ক্লাভেল আন্দ্রেস তাঁর প্রিয় সাহিত্যিক মিগেল দে সার্ভেন্থেস ও তাঁর সৃষ্টিকে মনে রাখার জন্য নিজ দেশে ১৯২৩ সালে প্রথম পালন করা শুরু করেন এই দিনটিকে বিশ্ব বই দিবস হিসেবে।

বই দিবস কে কোনো এক বিশেষ দিনের মধ্যে আবদ্ধ রাখাটা মূর্খামি। প্রত্যেক দিন ই হয়ে উঠুক বই দিবস। সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক জ্ঞানভান্ডার পূর্ণ করতে বই এর জুড়ি নেই। বই পড়া, বই উপহার দেওয়া বজায় থাকুক আজীবন। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতাকে লিপিবদ্ধ করা থেকেই বই এর আত্মপ্রকাশ। দৈনন্দিন জীবন থেকে কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন করা যায় না বইকে। সারাদিনের কাজের ক্লান্তি, মানসিক অবসাদ, ভালো না লাগা—-অক্সিজেন জোগায় বই। নিমেষে এক অন্যরকম ভালোলাগায় মন ভরে যায়। নতুন বই এর গন্ধ নতুন জামার আনন্দের চাইতে কোনো অংশে কম নয়।

এ বছর অন্য এক আতংকের পরিমন্ডলে নিঃশব্দে কেটে গেল দিনটি। অনলাইনে পড়াশোনা যতই চালু হোক মুদ্রিত পূর্ণ বইয়ের মজাই আলাদা। বিশ্বের বিভিন্ন জাতীয় গ্ৰন্থাগার এবং কলকাতায় অবস্থিত ভারতীয় জাতীয় গ্ৰন্থাগার পাঠক ও বইয়ের মনস্তাত্ত্বিক সম্পর্ক নিয়ে অনলাইনে আলোচনার আয়োজন করেছে ঠিকই কিন্তু এ যেন দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর প্রয়াস।
করোনার বিরুদ্ধে জারি থাকুক লড়াই। পাশাপাশি কুসংস্কার মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে, আরও উন্নত চিন্তা ভাবনার জগতকে আলোকিত করার লক্ষ্যে আরও বেশি করে গড়ে উঠুক বই পড়ার সুঅভ্যাস।সুস্থ চিন্তার জয় হবেই এই বিশ্বাস করি।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।