কলমের খোঁচা

মহামতি লেনিন স্মরণে


কিংশুক ভট্টাচার্য:চিন্তন নিউজ:২৪শে এপ্রিল:-উৎপাদন সম্পর্ক, এবং একমাত্র উৎপাদন সম্পর্কের দ্বারাই একটি রাষ্ট্রের শ্রেণি চরিত্র নির্ধারণ করা যায়। চটকদারি খবর, বুর্জোয়াদের একপেশে ও গুটিকয়েকের উন্নতির চিত্রকে, সমাজতন্ত্রের উত্তরণ বলে যারা মার্কসকে বাতিল করছেন, দাস ক্যাপিটাল-কে বাতিল করছেন, ১৯৪৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মহাচীনের অপার সাফল্যকে মিথ্যার বেসাতি করে বাতিল করছেন, লেনিন এর রাষ্ট্র ও বিপ্লবকে বাতিল করছেন, মাও-এর সাংস্কৃতিক বিপ্লবকে বাতিল করছেন। এক কথায় প্রলেতারিয়েত একনায়কতন্ত্র-কে বাতিল করছেন,তারা কখনই মার্কসবাদী নন। তারা আসলে “অনুশোচনাহীন পুঁজিবাদী পথের পথিক”। ইতিহাসকে স্মরণ করুন। এরাই একদিন চীনে, লাল পতাকার বিরুদ্ধে লাল পতাকা উড়িয়ে দুনিয়াকে বোকা বানিয়েছিল। এদের থেকে সাবধানে থাকুন।

মার্ক্সবাদ অধ্যায়ন করুন। বার্নস্তাইনের আধুনিক বংশধরদের চিহ্নিত করুন, বিচ্ছিন্ন করুন।
লেনিন শিক্ষা দিয়েছেনঃ যারা শুধুমাত্র শ্রেণি সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেয়, তারা মার্কসবাদী-ই নয়; তারা হয়তো পড়ে রয়েছে বুর্জোয়া চিন্তাভাবনা এবং বুর্জোয়া রাজনীতির সীমার মধ্যে। মার্কসবাদকে, শ্রেণি সংগ্রামের মতবাদের মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলার অর্থ হচ্ছে মার্কসবাদকে খণ্ডিত করা, তাকে বিকৃত করা, তাকে এমন একটা কিছুতে কমিয়ে আনা যা, বুর্জোয়াদের কাছে গ্রহণীয়।

সেই একমাত্র মার্কসবাদী, যে শ্রেণি সংগ্রামের স্বীকৃতিকে, সর্বহারার একনায়কতন্ত্র পর্যন্ত প্রসারিত করে। এটি-ই হল সেই গভীর প্রভেদ যা, একজন মার্কসবাদী এবং একজন সাধারণ পেটি (একই সাথে বৃহৎ-ও) বুর্জোয়ার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। এটিই হল সেই কষ্টি-পাথর, যার উপরে মার্কসবাদের প্রকৃত বোঝাপড়া ও স্বীকৃতিকে পরীক্ষা করতে হবে।
[সুত্রঃ ‘রাষ্ট্র ও বিপ্লব’; লেনিন]


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।