চৈতালি নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৫শে মে:- করোনা পরবর্তী বিশ্বে আমূল পাল্টে যাচ্ছে বিশ্বের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট। এই লকডাউন চলাকালীন অর্থনীতির চাকা যাতে একেবারে স্তব্ধ না হয়ে যায়, সেই লক্ষ্যে চালু হয়েছিল বাড়িতে বসেই অফিসের কাজ করার এক নতুন কালচার, যাকে বলা হচ্ছে “ওয়ার্ক ফ্রম হোম”।ইতিমধ্যে ই এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম কাজের ধারা জনপ্রিয় হয়েছে বিশেষ করে আইটি সেক্টরের কর্মীদের কাছে। এই বাড়িতে বসেই কাজের ধারাটিকে অব্যাহত রাখতে তৈরী হয়েছে নতুন ব্লুপ্রিন্ট। শুধুমাত্র ভারতেই নয় সারা বিশ্বেই লকডাউন পরবর্তী অধ্যায়ে অর্থনীতি এবং সামাজিক দ্রুত পট পরিবর্তনের কারনণেই এই নতুন কর্মপদ্ধতি মানুষের কাছে একই সঙ্গে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে।
ওয়ার্ক ফ্রম হোম এর যে খসড়া প্রস্তাব ডিপার্টমেন্ট অব পার্সোনেল এন্ড ট্রেইনিং জমা পড়েছে, তাতে সরকারি কর্মীদের বছরে ১৫দিন বাড়িতে বসেই কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছে বড় বড় কোম্পানি গুলিও। এতে অফিসের স্পেস সমস্যা যেমন মিটবে তেমনই বজায় রাখা যাবে সোস্যাল ডিসটেন্সিং ও অফিসের খরচ। এতে কর্মচারীদের অফিসে আসার দিন কমবে। প্রতিটি বিভাগেই চালু হতে চলেছে ই-অফিস। ৭৫টি মন্ত্রক এবং ৫৭ টি ডিপার্টমেন্টের ৮০% কাজ করছে এই ই-অফিস। তবে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নিয়ে যাদের কাজ করতে হয়, তাদেরকে অফিসে উপস্থিত থেকেই কাজ করতে হবে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত থাকাটাও এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই লকডাউন চলাকালীন বিভিন্ন মন্ত্রক যেভাবে ই-অফিস ও ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে তাতে অর্থনীতির চাকা একেবারে রুদ্ধ হওয়াকে রোধ করেছে। টেকনোলজির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই কাজের ধারাটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলি। শুধুমাত্র এমার্জেন্সি সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা ছাড়া প্রায় সকল ক্ষেত্রের কর্মীরাই এই সুযোগ পাবেন ।
এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মসংস্কৃতির রয়েছে কয়েকটি অন্ধকার দিকও। এতে সমান্তরাল দুটি কর্মীদের শ্রেনী তৈরি হবে। একটি শ্রেনী পাবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। অপর শ্রেণীটি যারা বাড়িতে বসে কাজ করবে,তারা বঞ্চিত হবে তার থেকে। আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদার দিক থেকেও তারা দুভাগে বিভক্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।