রাজ্য

হুগলি জেলার আশ্চর্য গ্রাম ” ময়ূর গ্রাম”


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২১,শে জুলাই:– কুন্তি ও সরস্বতী এই দুই নদীর মাঝে সুবিশাল এলাকা জুড়ে পোলবার রাজহাট। গান্ধীগ্রাম, চকপাড়া, সাহেব বাগান, ঝাপাঙডাঙা এই রকম নানা নামের গ্রাম। পল্লী বাংলা র ছায়াসুনিবিড় গ্রাম গুলোর মতোই এখানকার গ্রাম গুলো।অন্যান্য গ্রাম গুলোর সঙ্গে রাজহাটের একটাই পার্থক্য এই গ্রামের মেঠো পথে সারাদিন ঘুরে বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর। মেঘের সঞ্চার হলেই দেখতে পাওয়া যায় পেখম তুলে নাচ।রাজহাট  এই জন্য ময়ূর গ্রাম নামে পরিচিত।

রাজস্থান এর জয়সলমীরে যেমন ময়ূর ঘুরে বেড়ায় তেমন ময়ূর এর দল গ্রামের পথে ঘুরে বেড়ায়। বছরের পর বছর রাজহাটকে রঙীন করে রেখেছে এই ময়ূর এর দল। এরা আবার নিঃসঙ্কোচে গ্রামবাসীর বাড়ীতে খাবারের সন্ধানে ঢুকে পড়ে। গ্রামবাসীরাও অতি আদরের সাথে তাদের খাবার দেয়। গ্রামবাসীরাও নিজেদের সন্তান স্নেহে এই ময়ূর দের আগলে রাখে। এই ময়ূর রা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের গ্লুকোজের জল খাইয়ে সুস্থ করে। গান্ধীকলোনীর কল্যা পরিবার প্রচুর গম কিনে ময়ূরদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। ময়ূরের ডিম নষ্ট  হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন গ্রামবাসীরাই। কিন্তু এই কাজে হুগলি চুঁচুড়া বিধানসভার দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করার কথা , কিন্তু সে বিষয়ে কোনো কিছু আজ পর্যন্ত কিছুই করে নি।

এই ময়ূর এর দল আস্তে আস্তে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। কারণ আধুনিক সভ্যতার ছোঁয়ায় অবিরাম চলছে গাজকাটা, জলাশয় বোঝানো প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই গ্রামবাসীর আশঙ্কা  ভারতের জাতীয় পাখীর  দল বিলুপ্ত না হয়ে যায়। এখন সরকার যদি দায়িত্ব না নেয় তাহলে গ্রামবাসীর চ্যালেঞ্জ ভারতের জাতীয় পাখী ময়ূরদের রক্ষা করা।



মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।