দেশ রাজ্য

হুইস্কি টি! জোর চর্চা চা-বলয়ে


রত্না দাস: চিন্তন নিউজ:১২ই মে:- করোনার আবহে চা ও সূরা প্রেমীদের জন্য সুখবর। সব ঠিকঠাক চললে আর হয়তো বছর খানেক এর মধ্যে আসতে চলেছে হুইস্কি-টি। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আজকাল গ্রীন টি তে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে হোয়াইট টিও ধীরে ধীরে তার জায়গা করে নিয়েছে চা প্রেমীদের কাছে। এবার বাজারে আসতে চলেছে হুইস্কি-টি ।এতে কি হুইস্কির আস্বাদন পাওয়া যাবে?

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার ডুয়ার্স শাখার সচিব জানান,জাপানে হুইস্কি-টি উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। ভারতের বাজারে তা এখনো প্রবেশ করেনি তবে ওই চায়ের স্বাদ ভারতীয়রা শীঘ্রই পাবেন বলে আশা করা যায়। চায়ের একটা নিজস্ব সুগন্ধ থাকে সেই গন্ধের সঙ্গে হুইস্কির মেলবন্ধন অনেকটাই অন্যরকম অনুভূতি চা প্রেমিকদের। তবে হুইস্কিতে সম্পূর্ণরূপে অ্যলকোহল মুক্ত এবং স্পিরিট রহিত।
প্রাথমিকভাবে যা বিশেষজ্ঞদের মতে এই চা হার্টের অবস্থা ভালো রাখতে, রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে, মানসিক স্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হুইস্কি টি সাহায্য করে। একটি অংশের মতে দেশে প্রতি১০০ জনে কমবেশি ৮০জন মানুষ চা পান করে। মদ্যপায়ীরাও আছেন।নতুন ধরনের চায়ের দাম সবার নাগালের মধ্যে থাকলে মদ্যপানে যারা অতিরিক্ত আসক্তি তারাও এই হুইস্কি টির দিকে ঝুঁকতে পারে।

তবে নতুন এই চা পাতা তৈরীর বিষয় সম্পর্কে খুব বেশি খবর জানা নেই চা-পেয়ীদের কাছে। পাহাড় তরাই ডুয়ার্সে বেশকিছু চা বাগানের ম্যানেজার জানান এই চা পাতাটির বিষয়ে তারা বিশেষ ওয়াকিবহাল নন। ফার্স্ট সেকেন্ড ক্লাসের দার্জিলিং চা পাতা ছাড়াও অত্যন্ত দামি চা পাতা হিসেবে আপাতত উত্তরবঙ্গের স্বীকৃত হোয়াইট-টি। পাহাড় বাদ দিলে সমতলে হাতেগোনা কিছু বাগানে অনেক কষ্ট করে অল্প কিছু হোয়াইট টি উৎপাদন হয়। কার্যত মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে থাকে সেই চা পাতা।

টি- রিসার্চ এসোসিয়েশনের নাগরাকাটা অফিস থেকে সিনিয়ার অ্যাডভাইজারি অফিসার জানান ,বিষয়টি সম্পর্কে আমরা এখনো পুরোপুরি খোঁজ পাইনি। তবে আমাদের গবেষণা থেকে ইতিমধ্যেই টি কোলা, টি ট্যাবলেট,টি বিস্কুট উঠে এসেছে।ভারতীয়রা নির্দিষ্ট একটা প্রথাগত পদ্ধতিতে চা তৈরি করে তা পান করে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নেব।’

প্রথম অবস্থায় ভারতের বাজারে এলেও হুইস্কি-টির দাম অনেকটাই বেশি হ’তে পারে।গোটা বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চর্চা চলছে উত্তরের চা-বলয়ে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।