জেলা রাজ্য

যেখানে তৃণমূল, সেখানেই দুর্নীতি


দেবু রায়, চিন্তন নিউজ, ৭ জুলাই: ২০১১ সালে রাজ্যে মা-মাটি সরকার প্রতিষ্ঠা পাবার পর, ধীরে ধীরে সর্বত্র দুর্নীতি ক্যান্সারের মত ছড়াতে থাকে। আমফানে রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে দুই চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা একেবারে বিধ্বস্ত। গ্রাম বাংলার জীবনের আতুর ঘর পঞ্চায়েত গুলো আজকে পরিণত হয়েছে দুর্নীতির আতুর ঘরে। শুধু স্বজন পোষণ আর যা ত্রান সরকারের থেকে আসছে সেটা নিজেদের মধ্যে অর্থাৎ তৃণমূলের নেতা, কর্মী এবং কিছু সরকারী কর্মী যারা আবার শাসক দলের ঘনিষ্ট সব কিছু নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হচ্ছে।

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সাগর ব্লক ভীষন ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় অধিকাংশ অঞ্চলের মানুষ বড়ো অসহায়। তাঁদের অনেকের কাছেই কোনো সরকারী ত্রান বা সরকারী অর্থ পৌঁছায়নি। রূদ্র নগর পঞ্চায়েতে বসবাস করা অনেক মানুষ যারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের অনেকে টাকা পায়নি। সেই টাকা গেছে অন্যদের পকেটে। তাঁদের মধ্যে আছেন যেমন কিছু স্থানীয় নেতা আবার তেমনি আছেন সরকারি আধিকারিকরা।

বন ও ভূমি কর্মদক্ষ শ্রী প্রদীপ বালেশ্বর তিনি তার স্ত্রী ছবি রানী বালেশ্বর নামে বিষ হাজার টাকা ঝড়ের ক্ষতি দেখিয়ে নিয়েছেন। শ্রীমতি ছবি রানী বালেশ্বর আবার এক জন I. C. D. S. শিক্ষিকা। শুধু কি তাই? দীর্ঘদিন ধরে রুদ্র নগর B. L. O. অফিসে লুটের রাজ চলছে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং তাঁদের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু সরকারী কর্মীদের যোগসাজসে। তাঁদের কাজ হলো দুনম্বরি পথে ভুয়ো কার্ড তৈরি করা এবং তাকে সংশোধন করে সেটাকে আইনি মান্যতা দেয়া। এই কাজে হাজার হাজার টাকার লেনদেন চলে আসছে।

এই নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার মানুষের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ রয়েছে। টাকার এতই লেনদেন যে প্রদীপ বালেশ্বর মাত্র পাঁচ মাস আগে চৌরঙ্গী বাজার এলাকার মত জনবহুল জায়গায় সাত লক্ষ টাকা দিয়ে জমি কেনেন। এই নিয়ে এলাকাতে কান পাতলেই শোনা যায়। মানুষও ভীষন ক্ষিপ্ত, কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে পারছে না , কারন তাঁদের উপর যদি আঘাত আসে কি করবে তারা? তাই চুপচাপ সব কিছু সহ্য করে চলছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।