রাজ্য

ভূগর্ভস্থ জলের যথেচ্ছ লুঠ চলছে ।


শাশ্বতী ঘোষাল :চিন্তন নিউজ ; ১৮ই জুলাই ;
মাটির তলা থেকে জল ডাকাতি, চলছে ৫ হাজার অবৈধ জল কারখানা।

জলের অপর নাম জীবন। আর সেই জল দেদার লুঠ হয়ে যাচ্ছে লোকচক্ষুর অন্তরালে মাটির তলা থেকে। যত ইচ্ছে তত জল তুলে জলদস্যুদের বেআইনি জল কারখানা চলছে খোদ বহরমপুর শহরের বুকে।৫ হাজার ২০০ বে আইনি জল কারখানার হদিশ মিলেছে শুধু মাত্র এই শহরেই। দিনে দুপুরে চলছে জল ডাকাতি।
মাটির তলা থেকে কতটা পরিমাণ জল নিয়মিত তোলা যাবে এ নিয়ে সরকারী কোনো নির্দেশ নেই। ফলে যে যত পারছে জল তুলে বোতলে বা জারে ভরে বেআইনী ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমছে।
মুর্শিদাবাদে বেশীর ভাগ ব্লকের ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিক মিলেছে ফলে অবস্থা আরো করুণ ।এখানের ২৬ টি ব্লককে ব্ল্যাক জোন হিসাবে ঘোষণা ও করা হয়েছে। অথচ হাজার, শুভ হাজার অবৈধ জল কারখানা র হদিশ পাওয়া গেছে এই শহরের বুকে। যার গুণমানের দিকে কোনো নজর দেওয়া হয় না। কুড়ি লিটার জল মাত্র পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বহরমপুরের পর মালদহেও পাওয়া গেছে অবৈধ জল কারখানার হদিশ।
যে যে ব্লকে জল ডাকাতি র খবর পাওয়া গেছে সে অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ জল স্তর ও কমছে।
কোনো নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করেই বাড়ি তে বাড়িতে গজিয়ে উঠেছে জল কারখানা। সরকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত কারখানা য় জল পরিশোধনে যে জল নষ্ট হয় তা আবার ভূগর্ভে পাঠানোর ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বেআইনী কারখানার ঐ জল পুরোটাই নষ্ট।
আশু এ সমস্যা র সমাধান প্রয়োজন, প্রয়োজন সরকারী হস্তক্ষেপ। না হলে সাধারণ মানুষের দুর্দশার অন্ত থাকবে না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।