দেশ রাজ্য

রাজ্যের জলছবি


সূপর্ণা রায় :চিন্তন নিউজ :১৭ই জুলাই :–রাজ্যের জলছবি ——– দেশে বিপজ্জনক ১৫২৩ টি ব্লক!!!তার মধ্যে এ রাজ্যের একটি ব্লক ——-গো-ঘাট –২…….. প্রবল দূর্দশাগ্রস্থ ব্লক গুলির দেশজোড়া মানচিত্রে উঠে এসেছে গড় মন্দারন প্রসিদ্ধ হুগলীর ব্লকটি।। কিন্তু সুত্র জানাচ্ছে বিপদ শুধু গোঘাটেই থেমে নেই রাজ্যের আরও ৮৭ টি ব্লক আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে।। এটা জানা যাছে বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে।। গোঘাট-২ ছাড়াও আরও ৮৭ টি ব্লক —-তার মধ্যে আছে ঝাড়্গ্রাম—-মেদীনিপুর—–বীরভুম—–বাকুড়া—-পুরুলিয়া ——পশ্চিম বর্ধমানের ৫৫ টি ব্লক আছে। শুধু এই ৫৫ টি ব্লকের অন্তর্গত ৪৭২ টি পঞ্চায়েত। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে সংকটাপন্ন এলাকা গুলি তে পুকুর সহ নানাধরন এর জলাধার প্রকল্প তৈরী খুব গুরুত্বপুর্ন কাজ।। কেন্দ্রীয় সরকার এই কাজের নাম দিয়েছে “”জলশক্তি অভিযান “”……. জলের এই দূর্দশাগ্রস্থ অবস্থাতে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দপ্তর কে চিঠি লিখেছে ও পশ্চিমাঞ্চল এর ৬ টি জেলা কে সতর্ক করেছে—–কারণ মমতা ব্যানার্জীর সাধের “””জল ধরো জল ভর “””প্রকল্পে কোন কাজ হয়নি এই জেলা গুলিতে।। মুখ্যমন্ত্রীর “””জল ধর জল ভর “” প্রকল্পের সাথে মিল রয়েছে “”জলশক্তি অভিযানের””….. আর নাম আর যাই হোক না কেন চাষ ও পানীয় জল ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে মাটির নীচের জল ব্যাবহার কমানো।। জলাধার তৈরী করাই এই প্রকল্প গুলির উদ্দেশ্য।। মমতা বানার্জীর দাবী ——-তার সরকার ৩ লক্ষ পুকুর খনন করেছে।। তার মানে পঞ্চায়েত পিছু গড়ে ৯০ টি পুকুর।। কিন্তু গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন পঞ্চায়েত পিছু ৯০ টি পুকুর খোড়া হয়েছে কিনা তা তারা বলতে পারবেন না।। সাংবাদিকদের খুঁজে বার করতে বলেছেন।। তবে এটাও জানিয়েছেন পুকুর কাটার কাজ ——জল ধরে রাখার কাজ অনেক জায়গাতেই ঠিকমতো হয়নি বলেই কমিশনার চিঠি লিখেছেন জেলাগুলিতে।। পুকুর কাটার নামে পুকুরচুরি হয়েছে।। প্রমান রাজ্যের একশো দিনের কাজ—–এই প্রকল্পের কমিশনার দিব্যেন্দু সরকারের চিঠি।। গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সেই চিঠি সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল এর ৬ টি জেলার জেলাশাসকদের।। দিব্যেন্দু সরকার চিঠিতে লিখেছেন——“”” আপনাদের নজরে আনা হচ্ছে যে এই ৬ টি জেলার ব্লকগুলি ঊষরমুক্তি প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য প্রচুর উদ্যোগ নেওয়ার চেষ্টা করলেও বাস্তবায়ন এর ছবি আদৌও কাঙ্ক্ষিত জায়গাতে পৌছায়নি”””———অথচ ৩ লাখ পুকুর কাটার দাবী দার মমতা ব্যানার্জী ওই জেলাগুলি তে বহুবার গেছেন।। তিনি তার কাজের জন্য যথেষ্ট গর্বের সাথে এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন “”ঊষরমুক্তি””……আর এই নাম ঘোষনা করা হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি তে।।বলা হয়েছিল এই প্রকল্প রুপায়নে চার বছরে এই প্রকল্পে ১২০০ কোটি টাকা খরচ হবে প্রাথমিক ভাবে।। তার মানে বছরে ৩০০ কোটি খরচ হওয়ার কথা বছরে।। প্রায় দেড় বছর পর রাজ্য সরকার চিঠি লিখে জানাচ্ছে যে এই ঊষরমুক্তি প্রকল্প এর কাজ প্রায় কিছুই এগোয় নি।।। তাহলে কি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ছাড়াই ৩ লক্ষ পুকুর কেটে ফেলল মমতা ব্যানার্জী সরকার? প্রশ্ন থেকেই যায়-।-


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।