বিদেশ

প্রধানমন্ত্রী যখন চিকিৎসক


নিউজডেস্ক, চিন্তন নিউজ, ৪ জুন: ভুটান একটি পাহাড় ঘেরা শহর। প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নন, তার আরও একটি পরিচয় তিনি চিকিৎসক।
সপ্তাহের ৬ দিন তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, কিন্তু শনিবার তিনি ডাক্তার। সংবাদ সংস্থা এ.এফ.পি.- কে শেরিং জানান কাজের ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে তিনি ডাক্তারি করেন। তিনি বলেন কেউ গল্ফ খেলেন, কেউ আর্চারি করেন, আর তিনি করেন ডাক্তারি। অস্ত্রপ্রচার করেন।সপ্তাহের শেষ দিন টি তিনি হাসপাতালে কাটাতেই ভালবাসেন।
শেরিং রোগীদের কাছে এক আস্থার নাম। থিম্পুর বাসিন্দা বুমথাপ জানালেন তিনি এক জটিল রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসেন আর শেরিং ৫ ঘন্টা ধরে তার অপারেশন করেন। বুমথাপ বলেন এখন তিনি পুরো সুস্থ। শেরিং এর কাছ থেকে পরিষেবা পেয়ে তিনি ধন্য।
শেরিং এর মতে রাজনীতি আর চিকিৎসা – দুটি পেশাতে বেশ মিল আছে। হাসপাতালে রোগীদের পরীক্ষা, চিকিৎসা করা হয়। আর রাজনীতিতে নীতিগুলি পরীক্ষা করে সেগুলির চিকিৎসা করা হয়। যাতে সেগুলি আরও উন্নত হয়ে উঠে। তিনি বলেন ভাল ডাক্তার হওয়ার আগে ভাল মানুষ হতে হবে।
শেরিং ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ অবধি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে পড়াশুনো করেন। এম বি বি এস পাশ করার পর ওখানেই প্রশিক্ষণ নেন।তারপর চিকিৎসাই করছিলেন। তারপর ২০১৩ সালে ভোটে দাড়ান কিন্তু হেরে যান। পরে ২০১৮ সালের ভোটে আসে জয় আর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।
তার আমলে ভুটানে চিকিৎসা তে প্রচুর উন্নতি হয়েছে। শিশু মৃত্যু কমেছে, মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, অনেক ছোয়াচে রোগ দূর হয়েছে। কিন্তু শেরিং বলেন তার এখনও অনেক কাজ বাকি।বিষেশ করে মদ্যপান ও ডায়াবিটিসের হার কমানোই এখন তার প্রধান লক্ষ্য।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।