নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:১৩ই সেপ্টেম্বর:-শিক্ষিত বেকারদের কাজ চায়, স্বল্প খরচে পড়াশোনা করতে চায় মূলত:এই দুই দাবি নিয়ে গতকাল সিঙ্গুর থেকে এস এফ আই ও ডি ওয়াই এফ আই নবান্ন অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। গতকাল রাত্রে হাওড়ায় থেকে আজ আবার যাত্রা শুরু।
দিদিকে বলো কর্মসূচি লোক মুখে বহুল প্রচলিত। কতটা কার্যকরী সে ব্যাপারে নানান প্রশ্ন আছে। ছাত্র-যুব সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য তারা তাদের বক্তব্য সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন। রাজ্যে শিল্প নেই। সিঙ্গুরকে শ্মশান বানিয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকেই রাজ্যে শিল্পায়ন হয়নি।বেকারদের কাজ করার জায়গা নেই। এসএসসি ,টেট,পিএসসি যা আছে তা স্বজনপোষণ ও কাটমানির গ্যাঁড়াকলে। নিয়োগে স্বচ্ছতা নেই।সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
অপরদিকে ছাত্রছাত্রীরা সুস্থভাবে কলেজে ভর্তি হ’তে পারে না। সেখানেও কাটমানির প্রভাব। পড়াশোনার খরচ বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের মাঝপথে লেখাপড়া থামিয়ে দিতে হচ্ছে।
কয়েকটি সাধারণ দাবি নিয়ে নবান্ন অভিযান করতেও পুলিশের দ্বারা নিগৃহীত হ’তে হ’ল পদযাত্রায় সামিল নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের। পুলিশ নির্মম ভাবে পেটালো। শুধু তাই নয়, আশেপাশের বাড়ির ছাদ থেকে আন্দোলন কারীদের লক্ষ্য করে ইঁট পাথরও ছোঁড়ে পুলিশ। বোমা ফাটানো হয়।
মনে করা হচ্ছে সাদা পোশাকে তৃণমূলী গুন্ডাবাহিনী মিশে গেছে মিছিলে।এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।
সুত্রের খবর গুরুতর আহত যুব সভানেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জি, আরও গুরুতর আহত বর্ণনা মুখার্জি ও সুনেত্রা সমাজপতি।
রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান তথা পুলিশ মন্ত্রী কিভাবে পুলিশকে এভাবে আন্দোলন ভাঙতে নির্দেশ দিতে পারেন? যদি ধরেও নেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেননি,তাহলে পুলিশের এহেন বর্বর আচরণে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হ’ল না কেন? এ রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল, পদযাত্রা কিছুই যদি না করা যায়,তাহ’লে কিসের গণতন্ত্র?
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/09/IMG_20190913_155158-1024x441.jpg)