চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ: ৬ই নভেম্বর:–নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে অধ্যাপকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ‘গেট টুগেদার’ পরিনত হোলো চরম ক্ষোভ ও হতাশায়।
পূজোর পরেই নতূন সুখবর দেবার নাম করে গতকাল ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ‘গেট টুগেদার’এর নামে ডেকে পাঠানো হয় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মন্ডলীকে।সকলেরই আশা ছিল মুখ্যমন্ত্রী এতোদিন অপেক্ষার পর কোনো আশার বানী শোনবেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান যে নতুন বছরের ১লা জানুয়ারি থেকেই ইউজিসির সংশোধিত বেতনকাঠামো কার্যকর করা হবে। এছাড়া একই সঙ্গে পার্টটাইমার ও গেস্ট লেকচারার দের বেতন বাড়বে ৫০০০ টাকা। এছাড়া ২০১৬ থেকে ৩% হারে ইনক্রিমেন্ট পাবেন অধ্যপকরা।আগামী ১ লা জানুয়ারি থেকেই তা কার্যকর করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আশা করেছিলেন প্রবল হাততালির মধ্যে তাঁর এই প্রস্তাব গৃহীত হবে।কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।তিনি এমনভাবে এই প্রস্তাব গুলো ঘোষণা করছিলেন যেন অধ্যাপক দের প্রাপ্য নয় এমন কিছু তিনি তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।অধ্যপকরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁরা তাদের ক্ষোভ ও হতাশা ও চাপা রাখেননি।কারন ১.১.২০১৬ থেকে ৩১.১২.২০১৯ পর্যন্ত সময়পর্বে অধ্যাপক দের এরিয়ার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন সম্পূর্ণ নীরব।এই এরিয়ারের পরিমাণ হবে ,যারা ২০১৬ সালের আগেই কাজে যোগ দিয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে অন্তত পক্ষে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা।বাম আমলে বিগত তিনটি বেতন কমিশন চালু করার ক্ষেত্রে অধ্যাপকরা কখনোই এই ধরনের বঞ্চনার শিকার হননি।(১৯৮৬,১৯৯৬,২০০৬)।
এপ্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো ১.১.১৬ থেকে ৩৯ মাসের বর্ধিত বেতনের এরিয়ার ৫০% কেন্দ্র বহন করবে রাজ্যসরকার কে দিতে হবে ৩৯ মাসের বেতনের ৫০%।এককথায় আজকের সভা জনগনের করের টাকা খরচ করে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রহসনে পরিনত হয়েছে। ইউজিসির সুপারিশ মতো সপ্তম বেতন কমিশন দেশের সব রাজ্য মেনে নিলেও এই রাজ্য প্রথম থেকেই ভাঙা রেকর্ডের মতো ফান্ডের সমস্যার কাঁদুনি গেয়েই চলেছে।
আজকে মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ঠ শিক্ষক ও উপাচার্যদের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ এ তাদের প্রতিবাদী ভুমিকা সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছিলেন মনে হয়েছিল। উনি এমনভাবে ঘোষণাটি করলেন যেন এমন প্রাপ্য ইতিপূর্বে কেউ পায়নি। শিক্ষক অধ্যাপকদের অসম্মান করার এই দূর্লভ গুন তিনি একচেটিয়া অধিকারের মতো আয়ত্ত করেছেন।শিক্ষকের মর্যাদা তার অর্জিত স্বাধীকার।
এই অবস্থায় অধ্যপক সমাজ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে এরিয়ার সম্পর্কে শিক্ষকদের প্রাপ্য দাবীর কথা মাথায় রেখে তা পুনর্বিবেচনা ও এইউদ্দেশ্যে সদর্থক ভুমিকা পালনের পদক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছেন। কারন আজকের এই প্রস্তাবে আর্থিক ভাবে বড় ক্ষতির মুখোমুখি হবেন অধ্যাপক সমাজ এবং প্রাক্তন অধ্যপকর। এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে আগামী ১৯ শে নভেম্বর WBCUTA কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।