শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

অনলাইনে ক্লাসে বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের ভাতা বৈষম্যমূলক


কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:২৯শে এপ্রিল:- গত ১৬ই মার্চ থেকে বন্ধ রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই সরকার করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে স্কুল ও কলেজগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি করেন এবং বেসরকারি স্কুল কলেজগুলোকেও এই নির্দেশের আওতায় আনেন। ১০ ই জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সমস্ত ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি দাবি করেছেন শিক্ষাবর্ষ দু’মাস পিছিয়ে মার্চ মাস থেকে শুরু করার।

এস এফ আই আগেই অনলাইনে স্পেশাল ক্লাস শুরু করেছিল তারপর অনেক সরকারি এবং বেসরকারি বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অনলাইনে ক্লাস। একইরকমভাবে রাজ্যে বৃত্তিমূলক শিক্ষকরাও শুরু করেছেন অনলাইনে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো। দীর্ঘদিন ধরে বৃত্তিমূলক শিক্ষক ও প্রশিক্ষকরা আর্থিকভাবে বঞ্চনার শিকার। বর্তমানে এঁদের সংখ্যা শিক্ষক, প্রশিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে দশহাজার। এরমধ্যে আবার ৩৫% চুক্তিভিত্তিক ও ৬৫% আংশিক সময়ের শিক্ষক। ২০১৭ সালে শেষবারের মতো প্রশিক্ষকদের ভাতা বাড়ে ক্লাসপিছু ১৬ টাকা ৬০ পয়সা এবং আংশিক সময়ের শিক্ষকদের বাড়ে ১০ টাকা। বর্তমানে মোট বেতন যথাক্রমে ৯০০০ টাকা ও ৭০০০ টাকা।

মাননীয়ার ঘোষণার আগেই বৃত্তিমূলক শিক্ষকদের সংগঠন গুলো শুরু করে দেয় অনলাইনে ক্লাস, দায়বদ্ধতামাফিক। কারিগরি শিক্ষা দপ্তরের অধীন রাজ্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতা উন্নয়ন সংসদ ৫ টি ই মেইল আই ডি ব্যবহার করে ৫ টি গ্ৰুপ তৈরী করে তার সঙ্গে পড়ুয়াদের যুক্ত করে পঠনপাঠন চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল কিন্তু রাজ্যসরকার ঘোষণা করেছে প্রতিটি ক্লাসের জন্য প্রতিটি শিক্ষক ও প্রশিক্ষককে অতিরিক্ত ১০ টাকা দেবে মোবাইল রিচার্জ করার জন্য। এটা অত্যন্ত অপমানকর, লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে তাঁদের সংগঠন বৃত্তিমূলক যৌথ মঞ্চ। যৌথ মঞ্চ দাবি করছে দীর্ঘ আট বছর সেভাবে কোনো ভাতা সরকার বাড়ায়নি, তা সত্বেও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষকরা নিজেদের উদ্যোগেই সরকারের ঘোষণার আগে থেকেই অনলাইনে পঠনপাঠন শুরু করেন এবং এরজন্য কোনোরকম সাহায্য তাঁরা সরকারের কাছে চান নি। তাঁদের পরিকাঠামো ব্যবহার করেই চলছে পঠনপাঠন, এক্ষেত্রে ৪০ মিনিট ক্লাস প্রতি যে ১০ টাকা অধিক সরকার বরাদ্দ করছেন তা তাঁদের প্রতি সরকারের বৈষম্যমূলক, উদাসীনতার প্রতিফলন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।