রাজ্য

শ্রদ্ধায় স্মরণে বিজয় মোদক


গোপাল চাকী,নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন্তন নিউজ:২৮শে জুন:– “যত দিন পৃথিবীতে ক্ষিদে থাকবে, দারিদ্র থাকবে, শোষন থাকবে, বঞ্চনা থাকবে, ততদিন সমাজতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও থাকবে৷” — বিজয় মোদক

হুগলী জেলার কৃতি সন্তান, কমিউনিষ্ট আন্দোলনের পুরোধা, স্বাধীনতা সংগ্রামী বিজয় মোদকের জন্মদিন ২৭জুন ৷ বাবা বিনয় কৃষ্ণ মোদক ছিলেন তৎকালীন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ৷ মেধাবী ছাত্র বিজয় কৃষ্ণ মোদক ইঞ্জিনিয়ারিং এ গোল্ড মেডেলিষ্ট ছিলেন ৷ কংগ্রেসের হাত ধরেই স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহন এবং বিপ্লবী অংশের সাথেই ধীরে ধীরে অবিভক্ত কমিউনিষ্ট পার্টিতে ৷ পার্টি বিভাজনের পর থেকে আমৃত্যু হুগলী জেলার সম্পাদক ৷ কৃষক সভার সর্বভারতীয় নেতা ৷ এবং আন্তঃপার্টি সংগ্রামে সেনাপতি ৷ পার্টির কৃষি দলিলে একমাত্র যার সংশোধনী গৃহীত হয় তিনি বিজয় মোদক ৷ সর্বোপরি হুগলী জেলার বাম আন্দোলনের অবিভাবক ৷

তাঁরই উৎসাহে চলা একটি পত্রিকার সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে, সেই পত্রিকার হাত ধরে পথচলা হুগলী-চুঁচুড়া বই মেলায় কয়েক বছর আগে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গৌতম রায় এর ‘বিজয় মোদক স্মারক বক্তৃতা’র একটি অংশ উল্লেখ করেই স্মৃতিচারনা করতে চাই ৷ অনেক ঘটনার উল্লেখ আজ হয়ত অনেকেই করবেন ৷ কিন্তু এটা আমার একটু অন্য রকম মনে হয়েছে ৷

আরামবাগের গান্ধী বলে পরিচিত রাজ্যের প্রাক্তন মূখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেন মারা গেছেন ৷ তাঁর মরদেহ কোলকাতায় পুরোনো কংগ্রেস অফিসের দোতলায় রাখা ৷ রাজ্যে তখন বামফ্রন্ট সরকার ৷ দু’জন মানুষ দু’দিক থেকে ধরে তুলছেন বিজয় মোদককে, আর তিনি শিশুর মত ভেঙে পরে অঝোরে কাঁদছেন ৷ সেই প্রফুল্ল সেনের মৃত্যুতেই যাকে হারিয়ে তিনি আরামবাগে সাংসদ হয়েছেন ৷

ঘটনাটি উল্লেখ করার কারণ যে জ্যোতি বসুর আত্মজীবনী ‘যত দুর মনে পড়ে’ তা সকলেই জেনেছেন বিজয় মোদক প্রফুল্ল সেনেদের দলের বিরুদ্ধে লড়াইতে কোন পর্যায়ে যেতে পারেন ৷ তাই বিজয় মোদকের জন্ম দিনে আমাদের নীতির প্রশ্নে দৃঢ় থেকেই মনের উদারতা বাড়ানোর শপথ নেওয়া উচিত ৷


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।