রাজ্য

বাড়ীর ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে মাস্ক পোড়ানোর যন্ত্র আবিষ্কার বাঁশদ্রোনীর শোভনের


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২৯শে জুন:- করোনা সংক্রমণ আটকাতে সবসময় প্রয়োজন মাস্ক ,স্যানিটাইজার এবং বারবার হাত ধোয়া। অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করার পর হয়তো নোজ ক্লিপ আলগা হয়ে গেছে বা কানের সাথে আটকে রাখার প্লাস্টিকের দড়ি আলগা হয়ে গেছে তখন অনেক লোক ই সেই অব্যবহার যোগ্য মাস্ক রাস্তায় বা যেখানে- সেখানে খোলা অবস্থায় ফেলে দেন।। এতে পরিবেশ সাঙ্ঘাতিক ভাবে বিপদে পড়ছে। অথচ ব্যবহৃত মাস্ক দু’ভাগে কেটে মুখঢাকা জঞ্জাল ফেলার পাত্রে ফেলে দেওয়া উচিৎ বা পুড়িয়ে ফেলা উচিত।

বাঁশদ্রোণী র এক যুবক শোভন মুখোপাধ্যায় বাড়ীর ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছে যার মধ্যে ব্যবহৃত মাস্ক ঢুকিয়ে দিয়ে সুইচ দিলেই মাস্ক পুড়ে যাবে কিন্তু কোন ধোঁয়া বের হবে না। এই যন্ত্র তৈরি করতে লেগেছে ধোঁয়া বেরোনোর নল, হিটারের কয়েল,সেরামিক প্লেট ও ফেলে দেওয়া ঠান্ডা পানীয়ের বোতল। এই দিয়েই তৈরি করা হয়েছে পরিবেশ বান্ধব যন্ত্র যা এই করোনা কালে খুব প্রয়োজন। শোভনের এই যন্ত্রে মাস্ক পুড়ে যাবে অথচ একটুও ধোঁয়া বের হবে না। এটাই এই যন্ত্রের বিশেষত্ব।।

ব্যবহৃত মাস্ক যেখানে সেখানে পড়ে থাকে আর তার মধ্যে করোনা রোগীর মাস্ক ও থাকে আর এতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা ডাক্তারদের। এসব দেখে শোভনের মনে হয় যেমন রাস্তার মোড়ে মোড়ে এটিএম কাউন্টার থাকে তেমনি যদি এই মাস্ক পোড়ানোর যন্ত্র বসানো যেতো তাহলে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষা করা যেতো। শোভনের তৈরি যন্ত্রে একটা মোটা বাক্স যার নিচের দিকে একটি দরজা। এই দরজা দিয়ে ব্যবহৃত মাস্ক ঢুকিয়ে দিতে হবে। বাক্সের ভেতর আছে হিটারের কয়েল। যন্ত্রের সুইচ অন করলে হিটারের কয়েলটা গরম হবে এবং মাস্কটা পুড়তে শুরু করবে।।গরম ধোঁয়াকে ঠান্ডা করার ব্যবস্থা আছে পাইপের মাধ্যে। সবশেষে সেই ধোঁয়া পাইপ দিয়ে ফেলে দেওয়া ঠান্ডা জলের ভেতরে গিয়ে ঢুকবে। ফলে পরিবেশ দূষণ এর কোন সম্ভাবনাই নেই। এই যন্ত্র তৈরি করতে শোভনের খরচ হয়েছে দশহাজার টাকা আর শ্রম দিতে হয়েছে মাত্র চার দিন।

শোভন মুখোপাধ্যায় এর কথায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে যদি এই যন্ত্র বসানো হয় তবে পরিবেশ দূষণ রোধ করা সম্ভব। আপাতত সে একটি যন্ত্র তৈরি করেছে,বরাত পেলে সে এমন যন্ত্র তৈরি করতে পারে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।