নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:৫ইডিসেম্বর:–হায়দ্রাবাদের ধর্ষণ ও খুনের নৃশংসতা ও আইনি বিচার নিয়ে যখন গোটা দেশ তোলপাড়, ঠিক সেই সময় ধর্ষণের বিচার যে কতটা ঠুনকো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল লক্ষৌয়ের উন্নাও।
প্রসঙ্গত গতবছর মার্চ মাসে গণধর্ষণের শিকার হয় উন্নাওয়ের একটি মেয়ে। কিছুদিন আগেই ধর্ষণের কারণেই খবরের শিরোনামে ছিল উন্নাও। সেই উন্নাও ধর্ষণ কান্ডেও প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন নেতা জড়িয়ে থাকার কারণে আইনী সহায়তা পেতে ধর্ষিতাকে অনেক মূল্য চোকাতে হয়েছে। শেষে ধর্ষকরা ধরা পড়ে। ধর্ষণ কান্ডে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গেছে। আর জামিন পেয়েই ধর্ষিতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলো। মেয়েটি ৭০% পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যে দেশে ধর্ষণের মত অপরাধ করেও জামিন পাওয়া যায়, যে দেশে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেখে অপরাধী ভয় পায়না, বরং অপরাধের উন্মত্ততা এবং বিচারের প্রহসন দেখে অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সে দেশে নিরাপত্তা কোথায় ?প্রশাসন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।কোনোরকম সাজা এখনও নির্দিষ্ট করা গেল না। ধর্ষণের মত অপরাধের অভিযুক্তরা কোন আইনে জামিন পায়?? দেশে কি আইন নয়,শুধু আইনের ফাঁকি থাকবে অপরাধীদের জন্য??দেশব্যাপী মানুষের মনে এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে ওঠা দেশের নাগরিকবৃন্দের বিবেক জাগ্রত হবে কবে? ধর্ষণের প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল, ধর্ণা এসবে আইনী ব্যবস্থা পাল্টাবে কি? দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে জনপ্রতিনিধিরা যেদিন ভক্ষক না হয়ে প্রকৃতপক্ষে রক্ষক হয়ে উঠবেন, সেদিনই এদেশের আইন পরিবর্তিত হবে। শিক্ষার ঘাটতি, না কি বিচারের ঘাটতি ? প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সরকার কবে দৃষ্টি দেবেন এদিকে।