নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:৬ইডিসেম্বর:–হায়দ্রাবাদ ধর্ষণকান্ডে অভিযুক্ত চারজনকে গুলি করে মারলো পুলিশ,—-এরকম একটি খবর ছড়িয়ে পড়ল দেশজুড়ে। এর সত্যতা কতটা?? আদৌ কি সত্য?যে পুলিশ প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির বাড়ির লোকের কথায় মান্যতা দেয়নি, যে পুলিশ হয়তো পারতো প্রিয়াঙ্কার ফোন ট্যাপ করে তাকে খুঁজে পেতে। যে পুলিশ হয়তো বাঁচাতে পারতো একটি মেয়ের প্রাণ। না,সেরকম কিছু ঘটেনি সেদিন। তাহলে সেই পুলিশ ধর্ষকদের গুলি করে হত্যা করল??আর তাই নিয়ে দেশের অধিকাংশ মানুষ পুলিশকে হিরো বানিয়ে ফেললেন।
যাইহোক, এনকাউন্টার কোনো বিচার নয়, দেশের জনগণ ধর্ষণের বিচারের পরিবর্তন চায়, কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি চায় ধর্ষকদের। এবার দেখা যাক্ অভিযুক্তদের মৃত্যুর আসল ঘটনা।
পুলিশি হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা হায়দ্রাবাদ ধর্ষণকান্ডের অভিযুক্তদের। তেলেঙ্গানায় পশু চিকিত্সককে গণধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে পুলিশি এনকাউন্টারে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে এই এনকাউন্টার হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে যে খবর পাওয়া নিয়েছে, অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। সেখানে ঘটনার পুনর্নির্মানের কাজ চলছিল। সেই সময় চার অভিযুক্তই পালানোর চেষ্টা করে। তখনই পুলিশ তাদের আটকাতে গুলি ছোঁড়ে, সেই গুলিতে মৃত্যু হয়, অভিযুক্ত চারজনের।
প্রসঙ্গত ২৮ নভেম্বর রাজ্য সরকারের অ্যাসিস্ট্যান্ট ভেটেরিনারি চিকিত্সকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করে চারজন। হায়দরাবাদের কাছে সাইবারাবাদ থানা এলাকায় চাতানপল্লির কাছে একটি কালভার্টের নিচ থেকে পশু চিকিত্সকের দেহ উদ্ধার করা হয়। ২৯ নভেম্বর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়।অভিযোগ, পরিবার নিখোঁজের কথা বললেন প্রথমে গুরুত্বই দেয়নি পুলিশ। প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর কয়েকটি থানা ঘোরার পর অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এই গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় হয় সারা দেশ।
অনেকে এই ঘটনাকে দ্বিতীয় নির্ভয়া কাণ্ড বলছেন।এরকমই এক শীতের সন্ধ্যায় দিল্লিতে একটি মেয়েকে নৃশংসভাবে গণধর্ষণ করা হয়। এবং পরে মারাত্মকভাবে খুন করার চেষ্টা করা হয়। দেশের মানুষ মেয়েটির নাম দেন নির্ভয়া।
হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাস্ট ট্রাক আদালত গঠনের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনাকে ভয়হ্কর বলে বর্ণনা করেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর। এছাড়াও নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।
গত কয়েকদিন ধরেই তেলেঙ্গানা ধর্ষণ-কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানানো হচ্ছিল সব মহল থেকেই। এমনকি তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান জয়া বচ্চন সহ একাধিক সাংসদ।
তেলঙ্গানায় গত বুধবার এই ঘটনা ঘটেছে, যাতে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ২৬ বছরের ওই তরুণীর আধপোড়া দেহাংশ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সাইবারাবাদ পুলিশ। মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০) নামে এই চার জনই ট্রাকের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬২ ধারায় অপহরণ , ৩৭৫ ধারায় ধর্ষণ ও ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ আনা হয়।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/12/IMG_20191206_120722-1024x534.jpg)