চৈতালী নন্দী:চিন্তন নিউজ:২৩শে অক্টোবর:– রাজ্যের সব প্রকল্পের টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরানোর নির্দেশ কেন্দ্রের।
রাজ্যগুলির সব সরকারি প্রকল্পের টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে সরানোর নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার ।কোনো সহমর্মিতা বা দরদ নয়,এ এক ব্যাঙ্কের তহবিল লুটের ফাঁদ যা রাজ্যগুলি কে তথা রাজ্যবাসীকে সর্বশান্ত করার কেন্দ্রীয় চক্রান্ত।এখন দেশের অর্থনীতিকে ভূল পথে চালিত করার খেসারত দিতে হবে রাজ্যগুলিকে।মোদী সরকারের দিগভ্রান্ত অর্থনীতির ফলে শূন্য দেশের কোষাগার। টাকা চাই যে কোনো উপায়ে, তা সে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তহবিল ভেঙেই হোক,বা চাকরীজীবিদের পেন্সনের সুদ গায়েব করেই হোক।
এবার আর এক নতুন পন্থায় টাকা লুটের চেষ্টায় কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের অর্থদপ্তর সূত্রে সোমবার জানা গেছে চলতি বছরের শেষ তিন মাসে এই মর্মে চিঠি লিখে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।রাজ্য সরকারের সমস্ত প্রকল্পের টাকা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বা আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্কে রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।এই সংক্রান্ত প্রথম চিঠিটা এসেছিল গত আগস্ট মাসে ও শেষ চিঠিটা আসে অক্টোবরে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরে। কেন এই ঘন ঘন তাগাদা!
এই ধরনের নির্দেশ বা তাগাদা নজিরবিহীন।কারন যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার একে একে সব রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা গুলোকে বেসরকারীকরনের পথে এগিয়ে চলেছে, তাদের থেকে এই ধরণের নির্দেশ সন্দেহের উদ্রেক করে বৈকি।এই চিঠির বিষয়বস্তু ছিল রাজ্য সরকারের প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় বড়সড় পরিমাণ যে টাকা পড়ে আছে দায়িত্বে থাকা এজেন্সির কাছে,সেই খরচ না হওয়া টাকা অবিলম্বে জমা করতে হবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে। কারন এই টাকার বিশাল অংশ রয়েছে বেসরকারী ব্যাঙ্কে।কিন্তু যেহেতু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কগুলিতে লাগাতার টাকা ঢালতে হচ্ছে সেহেতু সরকারি প্রকল্পের প্রচুর পরিমাণ টাকা কোথায় থাকবে তা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে ধান্দাবাজ মোদীঘনিষ্ঠ ব্যাবসায়ীদের হাতে অসাধু উপায়ে টাকা তুলে দেবার লক্ষ্যেই এই নির্দেশ।ইতিমধ্যেই ৩৬ জন ব্যাবসায়ী ব্যাঙ্ক লুট করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছে ।তার মধ্যে ২৮ জন ছিলেন মোদী ঘনিষ্ঠ।
এইসব জালিয়াত দের দেশে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি মোদী নির্বাচনের আগে দিয়েছিলেন।কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।সরকার জানে সাধারণ মানুষের সরকারি ব্যাঙ্কেই আস্থা রাখে।তাদের জমানো তহবিলের সঙ্গে যদি সরকারি তহবিল যুক্ত করা হয় তা হবে বিপুল পরিমাণ টাকা যা মোদী তুলে দিতে চান ব্যাসায়ীদের হাতে। বেসরকারী করনের ধ্বজাধারী মোদীর কেন এই বিপরীত আচরণ ,তা জনগণের বুঝতে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।