দেশ রাজনৈতিক

আসাম সরকার ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ট্যুইটারে ঝড়।


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ:১১ই জুন:- কোভিদ -১৯ মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা, জেএন ইউ শিক্ষার্থীদের ওপর বারবার হামলা, দিল্লি দাঙ্গায় একতরফা চার্জশিট ফাইল করা, ভীমা কোরেগাও মামলায় তেলতুম্বে ও গৌতম সাওয়েলকর গ্রেপ্তারি, জামিয়া মিলিয়ায় গর্ভবতী ছাত্রী সাফুরা জারগরের জামিন প্রত্যাহার সহ একাধিক বিষয়ে ইস্যু তুলে ধরে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতা করে সিপি আই এমের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লালসেলামকমরেড এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয়।

১০ই জুন বিকেল চারটে থেকে তিন ঘন্টা দেশজুড়ে ট্যুইটারে ঝড় তুলে প্রথম স্থানে ছিলো #LalSelamComrade কোন আই টি সেল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারাট্ব বাহিনী ছাড়াই। পয়সা দিয়ে সব কেনা যায় না। বুধবার রাত ১০টা ৪৩ মিনিটে এক ট্যুইট বার্তায় একথা জানান সি পি আই এম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।

ঘটনার সূত্রপাত ২৯শে মে। আসামে বেশ কিছু বিচারাধীন বন্দীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে এন আই এ। এই চার্জশিটে বলা হয়েছিলো, কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো এবং এন ইনট্রোডাকশন টু সোশ্যালিজম বই দুটি পাওয়া যায় এক বন্দীর ঘর থেকে। চার্জশিটে বলা হয়েছে যে তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে অনেকবার ‘লাল সেলাম’, ‘কমরেড’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। এছাড়াও লেনিনের ছবি ব্যবহার করে পুঁজিবাদকে ধবংস করার কথাও লিখেছেন। এঁদের বিরুদ্ধে ইউ পি এ ধারায় মামলা রুজু করেছে এন আই এ। এই ঘটনার পরেই দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

এর আগে গত ৮ই জুন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়ালের ফেসবুক পেজে বামপন্থী কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন পোস্টে লাগাতার ‘লাল সেলাম’, ‘ কমরেড’, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ ‘ মন্তব্য করে ঝড় তোলেন। বুধবার বিকেল থেকে সি পি আই এম এবং অন্যান্য বামদল একটানা দীর্ঘ সময় ধরে ওই হ্যাসট্যাগে ট্যুইট করে যান। এদের পাশাপাশি ট্যুইট করেন গুজরাটের নির্দল বিধায়ক জিগনেস মেভানীও। তিনি আনন্দ তেলতুম্বে, ভারভারা রাও সহ সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির দাবি জানান।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।