দেশ রাজ্য

বিজ্ঞান সাধক রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী


মীরা দাস, চিন্তন নিউজ, ১২ জানুয়ারি: বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, চিন্তবিদ, সাহিত্যিক ও শিক্ষাব্রতী, রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদী বাংলা বিজ্ঞান সাহিত্যের অন্যতম পথিকৃত। পরীক্ষা, পর্যবেক্ষন ও যুক্তির সিঁড়ি বেয়ে অসংখ্য ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে অজ্ঞতা, কুসংস্কার, অযৌক্তিক আচার অনুষ্ঠান বাতিল করে উপনীত হতে হয় বিজ্ঞানে অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞানে।

রামেন্দ্র সুন্দর ত্রিবেদীর জন্ম ১৮৬৪ সালের ২০শে আগস্ট, মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি মহকুমার জেমো গ্রামে। এক বিপুল সংখ্যক রচনার রচয়িতা ছিলেন রামেন্দ্রসুন্দর। ছয় খন্ডে প্রকাশিত রামেন্দ্র রচনাবলী বাংলা বিজ্ঞান সাহিত্যের এক অমুল্য সম্পদ। মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে ১৯১৯ সালে ৬ই জুন তিনি প্রয়াত হন।

মানুষ হিসাবে আচার্য ত্রিবেদী এক বিরল মানুষ ছিলেন। বাংলার আকাশে সেই সময় রবীন্দ্রনাথ, জগদীশচন্দ্র বসু, সত্যেন্দ্রনাথ বোস, মেঘনাথ সাহা, প্রফুল্ল চন্দ্র রায় প্রতিভামুখর নক্ষত্র হিসাবে ছিলেন। নিজ কর্মগুনে ঐ জ্ঞান পরিধির মধ্যেও আচার্য ত্রিবেদী ছিলেন উজ্জ্বল এবং ভাস্বর।

তিনি মনে প্রানে মানতেন বিজ্ঞান মনস্কতা প্রসার ও বিজ্ঞান জনপ্রিয়করনের প্রথম কাজটি হলো ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’। গভীর নিষ্ঠার সাথে এই কাজটি তিনি করে গিয়েছিলেন। আজ বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করনের তিনি পথিকৃত।

কর্ম তৎপরতা পান্ডিত্য সহযোগে মানুষের কাছে বিজ্ঞানকে পোঁছে দিতে তিনি মরিয়া ছিলেন। নিজেকে সবসময় নিরলস জ্ঞান চর্চার মধ্যে আবদ্ধ রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ”আমাদের চোখের সম্মুখে বিদ্যার একটি জাহাজ ডুবিয়া গেল।”


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।