দেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

আত্মহত্যার নানারূপ।


রঘুনাথ ভট্টাচার্য:চিন্তন নিউজ:২১শে অক্টোবর:-সকালবেলা শোয়ার ঘরের জানালা খুলতেই এক দমক ডিজেল পোড়া
হাওয়া নিঃশ্বাসে মিশে গলায় চলে গেল। রাতঘুমের প্রশান্তি টুকু নিমেষে উধাও। উল্টে, হাওয়ার বিষে গলাটা জ্বলছে। সেই থেকে ভাবনা চেপে ধরেছে। আমরা যা খাই তার মধ্যে খাঁটি কি কিছু আছে?যা সব খবর বেড়োয়, তাতে মনে হয়, ‘ দিন দিন আয়ুহীন,হীনবল দিন দিন , তবু এ খাওয়ায় নেশা টুটিল না, এ কী দায়।’

মাছে নাকি ইঞ্জেকশন দিয়ে সুন্দর চকচকে করে রাখে,
ফল মিষ্টি তরিতরকারি রঙ দিয়ে রাঙিয়ে নিলে বিক্রি বাড়ে। আগে চালে, ডালে,চিনিতে কাঁকড়, পাথরকুঁচি মেশান হত। এখন, এগুলোতেও রং মেশানো হয় নাকি। তাই খাই। শুধু নিজে খাই না , বাচ্চাদেরও খাওয়াচ্ছি। মোটামুটি দু’তিন
পুরুষ খঞ্জ হওয়ার ব্যবস্থা পাকা।কাদের স্বার্থে ? উন্নয়নের ধারক-বাহক যে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় , তাদের কুস্বার্থে এইভাবে তাদের স্বার্থ পূর্ণ না হলে নাকি দেশের জিডিপি বাড়বে না। জিডিপি না বাড়লে তো শিরে সর্পাঘাত।

এইসব বিচিত্র চিন্তার মাঝেই খবরের কাগজের পাতা উল্টে
দেখতে , হঠাৎ চোখটা আটকে গেল একটা খবরে বলছে, দুধে না কি বিষ মেশানো হচ্ছে। বিষের নাম ‘আ্যফ্লাটক্সিন’। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘আ্যফ্লাটকসিন’ এমন এক ক্ষতিকর যৌগ যা থেকে ক্যান্সারও হতে পারে। ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এফ এসএস এ আই) এর সমীক্ষায় এ তথ্য ধরা পড়েছে। এই সংস্থা ২০১৮ সালে দেশের ১১০৩টি শহরে ৬৪৩২টি দুধের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছিল, অনেক জায়গায় দুধে পাওয়া গেছে আ্যফ্লাটক্সিন – এম১,অ্যান্টিবায়োটিক,কীটনাশকের মত বিষ।প্রক্রিয়াজাত দুধেই এর উপস্থিতি বেশি।

বিষাক্ত আ্যফ্লাটক্সিন দেখা যায় একধরণের ছত্রাকে।ভুট্টা, বাদাম ও তৈলবীজেই ঐ ধরণের ছত্রাক পাওয়া যায়।২০১৮সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা যে সমীক্ষা
করে, তাতে জানা যায় যে ঐ বিষের কারণে জন্ডিস,অবসাদ,যকৃৎ কার্য্যহীনতায় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত
হতে পারে। এমন বিষয়ও নাকি দুষে মেশানো অনুমোদন
যোগ্য(০.৫এমজি/কেজি)।প্রশ্ন ওঠে কেন ?

উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৭-১৮ সালে ভারতে ১৭৬.৩ মিলিয়ন টন দুধ উৎপন্ন হয়। বিশ্বে ভারত শীর্ষস্থানে। ভারতবাসী তো গর্বিত হতেই পারে , তাই নয় কি!


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।