নিউজ ডেস্ক:চিন্তন নিউজ:২১শে অক্টোবর:–মহা সংকটে পাঞ্জাব অ্যান্ড মহারাষ্ট্র কোঅপারেটিভ ব্যাংক। যে কোনো সময় দেউলিয়া হ’তে পারে ব্যাংক। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন গ্রাহকরা। এমনকি পিএমসি ব্যাংকের এক গ্রাহকের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে, এই দুশ্চিন্তার কারণে।
প্রসঙ্গত সঞ্জয় গুলাটি নামের এক গ্রাহকের ৯০লক্ষ টাকা জমা ছিল পিএমসি ব্যাংকে। ব্যাংকের দীর্ণদশা শোনার পর তিনি সেই টাকা তুলতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি সেই সুবিধা পাননি। ব্যাংক যে কোনো সময় দেউলিয়া হ’তে পারে ,দেউলিয়া হয়ে যাওয়া ব্যাংকের থেকে গ্রাহক সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পেতে পারেন, এই ঘোষণা রিজার্ভ ব্যাংকের।এইসব শুনে দুশ্চিন্তায় মৃত্যু হয় সঞ্জয় গুলাটির ।
শুধু পিএমসি ব্যাংক নয়, দেশের ভয়ানক আর্থিক সংকটে যে কোনো সময় যে কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হ’তে পারে। যদিও দেশের অর্থমন্ত্রী এই সংকট মানতে নারাজ। তাইবলে বাস্তব তো মিথ্যে হয়ে যায় না।
এনডিএ সরকারের ক্রমাগত শিল্পপতি তোষণ, পুঁজিপতিদের ঋণ মকুব, কালোটাকা উদ্ধারের ভূয়ো আশা দেখিয়ে কালোবাজারিদের মুনাফার জোগান দেওয়া, ধনী ঋণখেলাপিকে আশ্রয় দিয়ে প্রশ্রয় দেওয়া- দেশের অর্থনীতিকে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। যার শিকার দেশের মধ্যবিত্ত থেকে দরিদ্র জনসাধারণ।
এবার জানা যাক্ ব্যাংক দেউলিয়া হ’লে রিজার্ভ ব্যাংকের ঘোষিত, সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা কি?? কিভাবে পাবেন গ্রাহক তাঁর সঞ্চিত অর্থ?? রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ,একটি ইন্সিওরেন্স এর ব্যবস্থা করেন, এই মর্মে যে, যে কোন সময় যে কোনো কারণে যে কোন ব্যাংক দেউলিয়া হ’তে পারে। তাই প্রতিটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকের সাথে একটি ইন্সিওরেন্স কোম্পানি, নাম ডিপোজিট ইন্সিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন(ডিটিআইসিজি)যুক্ত করেন। এই ইন্সিওরেন্সের প্রিমিয়াম ব্যাংক পে করে থাকে। আর এই ইন্সিওরেন্স এর সুবিধা পাবেন প্রতি গ্রাহক। ব্যাংক দেউলিয়া হ’লে ঐ ইন্সিওরেন্সের টাকায় গ্রাহক ফেরৎ পাবেন।
উক্ত বিমা প্রকল্প চালু হয়েছিল ১৯৬৮ সালে,তখন গ্রাহকের প্রাপ্য সর্বোচ্চ অর্থ ছিল ৫০০০টাকা।১৯৭০সালে তা বেড়ে হয়১০০০০টাকা।১৯৭৬সালে ২০০০০টাকা।১৯৮০তে হয় ৩০০০০টাকা। ১৯৯৩সালে সর্বশেষ সর্বশেষ আইন সংস্কার করে সর্বোচ্চ একলক্ষ টাকা করা হয়। দীর্ঘ ছাব্বিশ বছর আর কোনো সংস্কার হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই যা অত্যন্ত হতাশাজনক। নব্বই, আশি লক্ষ টাকা জমা থাকলেও দেউলিয়া ব্যাংক থেকে মাত্র একলক্ষ টাকা ফেরত গ্রাহকদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।