চৈতালী নন্দী: চিন্তন নিউজ: ১০ই নভেম্বর :–রাশিয়ার উপগ্রহ চিত্রে তেলপাচারে অভিযুক্ত আমেরিকা।।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশগুলোর উপর সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপ করে চলেছে। ‘ঠান্ডা যদ্ধ’ শেষ হবার পর এই আগ্রাসন আরও তীব্র হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মূল উদ্দেশ্য হোলো মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তীর্ন তৈলক্ষেত্র গুলোর উপর বেপরোয়া দখলদারী মনোভাব। বিভিন্ন সময়ে আক্রান্ত হয়েছে ইরাক , ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশ। শুধুমাত্র সাম্রাজ্যবাদী কারনে নয় , সেই দেশগুলোর প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করাও ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃত উদ্দেশ্য। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ের রায়কেও তারা মানতে অস্বীকার করেছে।
সম্প্রতি স্যাটেলাইট চিত্রের প্রমান সাপেক্ষে রাশিয়া দাবী করেছে যে সিরিয়ার তৈলক্ষেত্র থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবাধে তেল পাচার করে চলেছে। দায়েশ তাকফির নামক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর পরাজয়ের আগে ও পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাবাহিনীর সুরক্ষায় গোপনে ও অবাধে এই তেলপাচার চালিয়ে যাচ্ছে।এই তেল সিরিয়া থেকে পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে অন্য অন্য দেশে (সূত্রpress_tv.com)।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল
ইগর কোনাশেনকভ বলেছেন যে”স্পেশ ইনটেলিজেন্সের চিত্রগুলো প্রমাণ করছে যে দায়েশ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর পরাজয়ের আগে পরে মার্কিন দেশের নির্ভযোগ্য ও শক্তিশালী সুরক্ষার অধীনে, তেল সিরিয়ার বাইরে বের করে এনে তা প্রক্রিয়াকরণ করার পরে তা বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্যে পাঠানো হয়েছিল। কোনাশেনকভ নিশ্চিতভাবে বলেছেন যে এই তেলবাহী কনভয়গুলো মার্কিন বেসরকারী সামরিক কোম্পানি গুলো এবং বিশেষ অপারেশন বাহিনীর দ্বারা সুরক্ষিত ছিল।রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দপ্তরের এই মুখপাত্র আরও বলেন যে এই তেল উত্তোলন করা হয়েছিল পশ্চিমের বৃহৎ কর্পোরেশন গুলো র দ্বারা এবং তথাকথিত মার্কিন বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করেই।
প্রসঙ্গত সিরিয়া থেকে পাচার হওয়া এক ব্যারেল তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৩৮ ডলার।এই বেসরকারী ব্যাবসায়ী র মালিকের আয় ৩০ মিলিয়ন ডলারের ও বেশী।এই ঘটনাই প্রমাণ করে দেয় বিশ্বজুড়ে মার্কিন আগ্রাসনের ভয়াবহ ও বাস্তব চিত্র।
![](https://chintannews.com/wp-content/uploads/2019/11/IMG_20191110_100735-1024x532.jpg)