কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ, ১৭ ডিসেম্বর: ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ছিলেন পারভেজ মুশারফ। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন লন্ডনে ৭৬ বছরের মুশারফ। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা চলছিল পাকিস্তানে। যে নওয়াজ শরিফকে ক্ষমতাচ্যুত করে মুসারফের উত্থান, সেই নওয়াজ শরিফই ২০১১ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে মুসারফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনেন।
পাকিস্তানেরই একটি আদালত একটি দুর্নীতির মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিল। পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালের ১৮ই মার্চ দুবাইয়ে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আর ফেরেননি। বারবার আদালতে হাজির না হওয়ায় পাকিস্তানে থাকা মুশারফের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর আদালতের নির্দেশে বাতিল করা হয় তার পাসপোর্ট ও সমস্ত পরিচয়পত্র।
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত পারভেজ মুশারফকে ফাঁসির আদেশ দিল পাকিস্তানের বিশেষ আদালত। ২০০৭ সালে সংবিধান বাতিল করে জরুরী অবস্থা ঘোষণার জন্য তিন সদস্যের বেঞ্চ তার ফাঁসির আদেশ দেয়। তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রায় পাঁচ বছর পরে এই রায় দিল বিশেষ আদালত। প্রায় তিনমাস ধরে নথিপত্র খতিয়ে দেখে বেঞ্চের মন্তব্য – পাকিস্তানের সংবিধানের ৬ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মুশারফকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে এই মামলার শুনানি পর্ব চলছিলো, যদিও মুশারফ এই মামলাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তবুও শেষরক্ষা হলো না।