দেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

এনআরসি র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আন্দোলনের সুযোগে চড়া হারে ওষুধের দাম বাড়িয়ে নিলো কেন্দ্রীয় সরকার


চৈতালী নন্দী, চিন্তন নিউজ, ১৬ ডিসেম্বর: ধর্মের ভিত্তিতে পাশ হয়ে যাওয়া নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ আন্দোলন।সাধারণ মানুষ মরিয়া হয়ে এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে এই আন্দোলনের ঢেউ। এই সুযোগে একগুচ্ছ অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করলো মোদী সরকার। এই দাম একলাফে বাড়ানো হলো ৫০% পর্যন্ত। অর্থাৎ যে ওষুধ এতোদিন ১০০ টাকায় কিনতে পাওয়া যতো তা এখন মানুষ কে কিনতে হবে ১৫০ টাকায়।

২০১৩ সালের পাশ হওয়া ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক নির্দেশের ভিত্তিতেই মোট ২১ ধরনের নিত‍্য প্রয়োজনীয় ও জীবনদায়ী বিভিন্ন ওষুধের দাম ৫০% বেড়ে গেল। এর মধ‍্যে যেমন রয়েছে বিসিজি টিকা, পেনিসিলিন, কুষ্ঠ প্রতিষেধক, তেমনি অপর দিকে রয়েছে বিভিন্ন এ্যান্টিবায়োটিক, এ্যান্টি এ্যালার্জি ও ভিটামিন জাতীয় ওষুধও।

গত দুবছর ধরেই ওষুধের দাম বৃদ্ধির জন‍্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বহজাতিক ওষুধ কোম্পানি গুলি।তাদের মতে ওষুধ তৈরির প্রথমিক উপাদান গুলির দাম গত কয়েক বছর ধরে ৫ থেকে ৮৮% বেড়েছে। ওষুধ তৈরির মোট খরচের ৪০ থেকে ৮০% কেবল এই এ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডিয়েন্টস বাবদ দিতে হচ্ছে। ফলে এই দাম বৃদ্ধিকে স্বাগত জানিয়েছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো।

এই ওষুধ কোম্পানি গুলির দাম বাড়ানোর জন‍্যে উৎপাদন ২৫% কমিয়ে কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করার সুযোগ রয়েছে। ফলে তারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে, অন‍্যদিকে সরকারও জোগানের সম‍স‍্যার যুক্তিতে দাম বাড়িয়ে নেয়।

ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনপিপি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক ও ওষুধ বিষয়ক স্ট‍্যান্ডিং কমিটি দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সকলেরই কমবেশী ভূমিকা থাকে। বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন খরচ চালাতে সাধারণ মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকারের ওষুধের দাম বাড়ানো যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলেই মনে হয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।