দেশ

দিল্লিতে কনকনে শীতে মারা গেল কুড়ি জন আন্দোলনরত কৃষক


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:১৭ ই ডিসেম্বর:- দিল্লিতে আন্দোলনকারী কুড়ি জন কৃষক মারা যায় খুব সম্ভবত কনকনে শীতে। প্রায় এক মাস ধরে ভারত সরকারের আনা কৃষি বিলের প্রতিবাদে আন্দোলন করছে সারা দেশের কৃষকেরা। প্রায় দশ লক্ষাধিক কৃষক এই আন্দোলনে সামিল। সরকার অনেক চেষ্টা করার পর ও কৃষকরা তাদের সিদ্ধান্তে অনড় যে পুরো কৃষি আইনটায় তুলে নিতে হবে। এই আন্দোলন চলাকালীন প্রায় কুড়ি জন আন্দোলকারী মারা যায় যাদের মধ্যে একজন পয়ত্রিশ বছর বয়সী কৃষক । 

এই আন্দোলনের জন্য সুপ্রিম কোর্টে হাজারো পিটিশন জারি করা  হয়েছে । তবে সরকার জানিয়েছে এই আইন তুলে নেওয়া সম্ভব নয়।অন্যদিকে কৃষক আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে যাচ্ছে।

দিল্লিতে যখন আন্দোলনকারী কৃষক তীব্র শীতে মৃত্যুবরণ করেছেন অর্থাৎ শহীদ হয়েছেন।  ঠিক সেই সময় কৃষকদের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার জন্য পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার। কৃষক আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করছেন।কৃষকরা এখন‌ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলছেন, সরকারের উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে না।

প্রসঙ্গত কেন্দ্র সরকারের প্রত্যেকটি নীতি জনবিমুখ। জনগণের ভোটে গদিতে বসে,মুষ্টিমেয়  পুঁজিপতিদের স্বার্থে জনবিরোধী আইন প্রণয়ন চলছে। তারই প্রকৃষ্ট উদাহরন লকডাউন পিরিয়ডে রূপদানকারী কৃষিবিল। সরকার ভেবেছিলেন কৃষকরা অতশত বুঝবে না বা  ভয়ে আন্দোলনে যাবে না।

কিন্তু সরকারের ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে  লাখো লাখো কৃষক দিল্লীতে পৌঁছেছে।দাবী একটাই কৃষিবিল প্রত্যাহার।কৃষকরা তাদের দাবীতে অনড়। ইতিমধ্যেই সরকার পেশীশক্তির প্রকাশ দেখিয়েছেন। সরকার ভেবেছিল  কৃষকরা ভয়ে গুটিয়ে যাবে। কিন্তু কৃষকদের শক্তি বেড়েছে। ভারতবর্ষের আনাচে কানাচে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবীতে মানুষ সোচ্চার , সরকার  ভয় পেয়েছেন।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য,  সরকারের নজর পড়েছে কৃষকদের খাবারের দিকে। কৃষকদের বক্তব্য, তাঁরা যা খান তাদের কষ্টার্জিত পয়সায়, সরকার খান জনগণের পয়সায়।  দিল্লির প্রচণ্ড শীতে যেভাবে খোলা আকাশের নীচে কৃষকরা দিনের পর দিন পড়ে থাকছেন।  কোনো সুরাহা না করে সরকার কখনও তাঁদেরকে জঙ্গি বলে অভিহিত করছে বা কৃষকদের খাদ্য তালিকাকে কটাক্ষ করছে। তবে কৃষকরা ঐক্যবদ্ধ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাধারণ মানুষ, বিভিন্ন সংগঠন তাদের সংহতি জানিয়েছে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।