বিদেশ রাজনৈতিক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির ট্যুইটার হ্যান্ডেল অনুসরণ করা বন্ধ করল হোয়াইট হাউস



রত্না দাস:চিন্তন নিউজ:৩০শে এপ্রিল:–বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস টুইটার অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দসহ ছ’টি ট্যুইটার হ্যান্ডেল অনুসরণ না করায় “হতাশ” প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত করোনায় বিধ্বস্ত আমেরিকা ভারতের কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চায়। তার আগেই ভারত এই ওষুধের রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমেরিকায় না পৌঁছালে মোদির ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর মোদি সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন ও আমেরিকায় ম্যালেরিয়া রোধক ওষুধ পাঠান, মোদিজীর এই দ্বিচারী ভূমিকা দেখে দেশের জনগণ অসন্তুষ্ট হন, কিন্তু এতে ট্রাম্প খুশি হয়ে মোদিজীকে বন্ধুত্বের বার্তা দেন।

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন যে করোনা সারানো যাবে বলে মনে করা হয়েছিল সেই ওষুধ পৌঁছায় তিন সপ্তাহ আগে। ট্রাম্প তাতে খুশি হয়ে মোদিজীকে ধন্যবাদ বার্তা দেন।মোদিজী পাল্টা বন্ধু চেনার বার্তা দেন। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পেয়েই মোদিকে টুইটারে ফলো করা শুরু করে হোয়াইট হাউস। বিশ্বের কয়েকজন বাছাই নেতাকে হোয়াইট হাউস ফলো করে তার মধ্যে মোদির নাম আসায় স্বভাবতই মোদি আপ্লুত ছিলেন।

তবে তিন সপ্তাহ কাটতেই মোদিজীকে ফলো করা বন্ধ করে দিলো হোয়াইট হাউস। শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নয় ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসকেও ফলো করা বন্ধ করল হোয়াইট হাউস। এদিকে নয়াদিল্লিতে মার্কিন দূতাবাস আছে মার্কিন প্রশাসন তাকেও আনফলো করে দিয়েছে।ট্যুইটারে মার্কিন প্রশাসনের এমন ব্যবহারে হতবাক অনেকেই।

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন কার্যকরী হয়নি মার্কিন মুলুকে। এই ওষুধে করোনা আক্রান্ত বহু মানুষের মৃত্যু হয় বলে শোনা যাচ্ছে। তারপরেই হোয়াইট হাউস মোদিকে ফলো করা বন্ধ করে দেয়। তাদের এই পদক্ষেপে অনেকেই হতবাক।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।