জেলা রাজ্য

টাকা আত্মসাৎ এরজন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে সর্বসমক্ষে ভৎর্সনা মথুরাপুর ২ ব্লকের বিডিও’ র,


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ: ২৪শে জুন:–তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েতের চুরির ধারা অব্যাহত। এই পথে চলতে গিয়ে আজ এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে খোদ তৃনমুলের এক নেতাকে কান ধরে জনতার সমক্ষে ক্ষমা চাইতে হলো।

প্রসঙ্গত আমফানে ক্ষতিপূরণের তালিকা তৈরিতে স্বজনপোষণ, নিজের পছন্দের লোককে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। এমন অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এবার একেবারে কান ধরে, সেই অভিযোগ মেনে নিতে বাধ্য হ’লেন তিনি। এই ঘটনাটা ঘটেছে রায়দীঘির নন্দকুমার পঞ্চায়েত এলাকায়।। গ্রামের মানুষদের অভিযোগ এই পঞ্চায়েত সদস্যের নাম নন্দকুমার ঘাটি।। আমফান ঝড়ের তাণ্ডবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ওই এলাকায় ক্ষতিপূরণ এর টাকা এসেছিল। আর ওই টাকাই আত্মসাৎ করেছেন নন্দকুমার ঘাটি। তিনি তার স্ত্রী ও ছেলের নামে কুড়ি হাজার টাকা করে বাগিয়েছেন।। এখানেই শেষ নয়, তিনি তার ছেলের প্রেমিকা সহ বেশ আরও কিছু লোককে ক্ষতিপূরণ বাবদ যে টাকা এসেছিল তার থেকে চুরি করে টাকা পাইয়ে দিয়েছেন। এই টাকা পাচার করার কথা গ্রামের মানুষদের কানে এলে তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং রাস্তা অবরোধ করে।। বিপদ বুঝে নন্দবাবু টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করে নিজের কান মুলে দেন।।

শুধু এটাই একমাত্র টাকা আত্মসাতের ঘটনা তা নয়। আরও ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকায়। নন্দকুমার পঞ্চায়েত এলাকায় পূর্ব কৈলাস পুর এলাকায় আমফানে ক্ষতিপূরণ এর টাকা এসেছিল আর সেই টাকাও আত্মসাত করেছে পাকা বাড়ি থাকা স্বত্বেও শিপ্রা মাইতিকে।। এই শিপ্রা মাইতির পাকা বাড়ির কোন ক্ষতি হয়নি তবু তিনি আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের টাকা হাতিয়েছেন।ক্ষমা চাইলেও গ্রামবাসীরা স্থানীয় একটি স্কুলের ঘরে তাদের বেঁধে রাখে পরে ওই অঞ্চলের বিডিও আসলে তাঁকেও গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরে অবরোধ শুরু করে।।

এই সব তৃনমুল নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ। এই নেতাকুল ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট ঠিকঠাক না করে সেই টাকা নিজেদের পকেট ঢুকিয়েছে ,১০০ দিনের কাজের মধ্যে পড়ে নদীবাধ মেরামতির কাজ সেটাও করায় নি।। সবার সামনেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যকে ভৎর্সনা করলেন মথুরাপুর ২ ব্লকের বিডিও।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।