কলমের খোঁচা

আজ বিশ্ব জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিবস.


মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ:২রা জানুয়ারি২০২১:-  বর্তমানে জনসংখ্যাবৃদ্ধি বহু  চর্চিত বিষয়। অনেকে তো সমস্ত সংকটের জন্য জনসংখ্যাবৃদ্ধিকে দায়ী করেন। তাঁরা একবার ভেবে দেখেন না, জনসংখ্যা বৃদ্ধির রহস্যটা কি।অনেকে তো ভারতবর্ষে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য মুসলিম জনসমাজকে দায়ী করেন এবং ও়ঁদের একাধিক বৌ ও সংখ্যায়িত করা যাবে না বাচ্চাকেইঙ্গিত করেন।  তাঁরা আসলে পরিসংখ্যানের ধার ধারেন না।

আমরা যদি মহাভারতের দিকে তাকাই তবে দেখবো গান্ধারী শতপুত্রের জননী। রামায়ণে দশরথের চারটি স্ত্রী। যদিও এইদুটি মহাকাব্য, ইতিহাস নয়। কিন্ত আধুনিককালে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি লালুপ্রসাদ যাদব যেন কটি সন্তানের জনক? তবে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারি ধর্ম দিয়ে জনসংখ্যা বিচার করা ঠিক নয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি একটি কারণ ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রকৃত কারণ সামন্তবাদী ওপুঁজিবাদী ব্যবস্থা। অনেকে বলবেন কি যে বলে।বামপন্থীদের এই এক দোষ। কিন্ত এটাই সত্যি । এই ব্যবস্থায় কিছু মানুযের হাতে প্রচুর সম্পদ কুক্ষিগত। দারিদ্র্য সৃ‌ষ্টিতেই এই ব্যবস্থার বিকাশ। এই দারিদ্র্যতাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। গরীব মানুষের কাছে সন্তান হল সেই সম্পদ যা একদিকে জনবল বাড়ায়, অন্যদিকে তাড়াতাড়ি গরীব ঘরের সন্তান উপার্জন করে। তাই দারিদ্রতা যত বাড়বে জনসংখ্যা ততবৃদ্ধি পাবে।শাসকশ্রেণীও এ বিষয়ে উদাসীন।
তাই পুঁজিবাদও থাকবে, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হবে, এ ভাবা সোনারপাথর বাটি ভাবার সমান।
তাই আমাদের আসল লড়াই এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। ওখানে সাফল্য আসলে অন্য সাফল্য আসবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।