রাজ্য

জলঙ্গীতে বোমা,ফেটে মৃত তিন।


তুলসী কুমার সিনহা:চিন্তন নিউজ:৩০শে অক্টোবর:—মুর্শিদাবাদের। জলঙ্গীতে বোমা ফেটে তিনজনের মৃত্যুর পর, এলাকা থেকে প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। গতকাল সন্ধেয় বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় তিন যুবকের। আজ সকালে বিস্ফোরণস্থল ও পাশের বাগান থেকে প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার করে জলঙ্গী থানার পুলিশ।

গতকাল স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেন, এলাকায় তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠী রয়েছে। একটি গোষ্ঠী বোমাবাজি করায় এই ঘটনা। যদিও জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়কের দাবি, নদীঘাটের দখল নিয়ে স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জের এই ঘটনা ঘটেছে।এতে কোনো রাজনীতি নেই।

জলঙ্গীতে বোমা বিষ্ফোরণকান্ডের মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে পদ্মার ঘাটের দখল কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তাই নিয়ে লড়াই, যার ফলস্বরূপ এই ঘটনা। তবে গ্রামীণ সূত্রে খবর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব এর আসল কারণ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হোক বা ঘাট অধিকারের লড়াই হোক, এই প্রাণহানির তীব্র নিন্দনীয়। প্রায়শই ঘটে চলা এইরকম ঘটনার দিকে প্রশাসন নজর দিতে ব্যর্থ।

প্রসঙ্গত জলঙ্গী থানার বিস্তীর্ণ এলাকা পদ্মাপাড়ে। বিএসএফের নজরদারি থাকলেও চোরাচালান চলে রমরমিয়ে। কোন ঘাট দিয়ে কত বেশী চোরাচালান হবে,এবং ঘাটের দরদাম ওঠানামা নিয়ে প্রায়শই লড়াই সংঘর্ষ চলে। স্থানীয় সিপিআইএম বিধায়ক ও কংগ্রেস নেতা দু’জনের এক‌ই বক্তব্য যে এই সংঘর্ষ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে, দখলদারিত্বের লড়াই।পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। মানুষের আতঙ্ক দূর করে প্রশাসন এলাকায় শান্তি ও ন্যায়ের শাসন প্রতিষ্ঠা করুক এটাই জলঙ্গীর নীরিহ, নিরপেক্ষ, সাধারণ মানুষের চাহিদা।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।