রাজ্য

গ্রামীণ মন্দা বেআব্রু ।


সূপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ: ৩০শে অক্টোবর:–গ্রামীণ মন্দা বেআব্রু _উৎসবের শেষে আরামবাগ হ্যাচারি বন্ধ হয়ে গেল আর বেকার হয়ে পড়ল ২০০ জন শ্রমিক যারা এই হ্যাচারিতে কাজ করত। সোমবার সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা দেখেন হ্যাচারির গেটে ক্লোজার নোটিশ ঝুলছে। যে কারখানা গমগম করত শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততায় সেখানে এখন শ্মশানের নিস্তব্ধতা । এই ঘটনাটাতে শুধু শ্রমিক পরিবার গুলোর ক্ষতি হল তাই নয় এ ক্ষতি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের। শ্রমিকদের বেতন বাবদ যে টাকা কোম্পানি খরচ করত সেই টাকাটাই ঘোরাঘুরি করতো বাজারে ।। এবার শ্রমিকদের কাজ গেছে তার খেসারত দিতে হবে বাজারকেও।।

কয়েক হাজার মানুষ এর জীবিকার ভরসা ছিল এই কোম্পানি_একথা জানান তাঁতিপাড়ার বাসিন্দা ও শ্রমিক আনন্দ বাগদী।। মুরগির ছানা পালন,ডিম উৎপাদন,মাংস বিক্রি সব মিলিয়ে এই হ্যাচারিটি একটি ক্ষুদ্র শিল্পের তকমা পেয়েছে। হ্যাচারির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে লোকসানে চলা এই হ্যাচারি তাদের পক্ষে চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ হিসেবে ঐ কর্মকর্তা বলেন গত জুন মাস থেকে মুড়গির দাম খুবই কম তার উপর কাঁচামালের দাম দিন দিন বেড়ে চলেছে।আমরা পূজোর মরশুম পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম কিন্তু হ্যাচারি লাভের মুখ দেখতে পেল না।বাধ্য হয়েই এই ক্লোজার।।

এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার , জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করা উচিৎ কিন্তু কেউই কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ক্ষোভ জমছে মানুষ এর মনে।যে সমস্ত মানুষ মুড়গির মাংস বিক্রি করে দিন যাপন করতেন তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। যারা এই হ্যাচারির উপর নির্ভরশীল ছিলেন তারা ক্ষোভে ফুটছেন আর পথে নামার পরিকল্পনা করছেন।। সরকার বা তৃণমূল কেউই যখন পাশে দাঁড়ায়নি তখন পাশে দাড়িয়েছে সিআইটিইউ । সিআইটিইউ এর নেতৃত্ব সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।আরামবাগ হ্যাচারির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রসুন রায় বলেছেন যে নোট বাতিল ও জিএসটির ফলে এই দারুন আর্থিক মন্দা।। কেনার চাহিদা কমে যাওয়াই এর ইঙ্গিত।। মুরগির খাদ্য এর দাম কমলে হয়ত সমস্যা র সমাধান হবে। “”” এই ক্লোজার সাময়িক””” বলে আশা প্রকাশ করেছেন।। এই হ্যাচারি প্রায় চার দশক আগে শুরু হয়েছিল এলাকার মানুষ এর সদিচ্ছা ও সহযোগিতা র ফলে আজ আবার এক লড়াই এর মুখোমুখি এই হ্যাচারি।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।