সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:১৯শে আগস্ট:- পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি গ্রামাঞ্চল নন্দীগ্রাম। যেখান থেকে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হিংসাত্মক কার্যকলাপ দিয়ে শুরু তাঁর জয়যাত্রা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হওয়া। তারপরে গঙ্গা দিয়ে বহু জল গড়িয়ে গেছে।২০১১ সালে ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারের পতন আর মুখ্যমন্ত্রী হলেন তৃনমুল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি।
কিন্তু অধিকারী গড়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি’।২০০৭ থেকে ২০১৯ সাল এই বারো বছর যে নন্দীগ্রামে তৃনমুল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারী বাম সূর্যের অস্ত ঘটিয়েছিলেন সেখানে ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি! নন্দীগ্রাম আবার জেগে উঠছে বাম স্লোগানে।
সুকুমার সেনগুপ্ত ভবনের আশেপাশের এলাকা গুলো হয়ে উঠেছে লাল পতাকায় মোড়া। দীর্ঘ ১২ বছর যে সুকুমার সেনগুপ্ত ভবন বামেরা খুলতেই পারেনি সেই ভবন খোলা অবশ্যই একটা গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। তৃনমুলের নন্দীগ্রাম কাণ্ড বামফ্রন্ট সরকার এর পতনের একটা অন্যতম কারণ ছিল। মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতায় আসার পথ সুগম করেছিল এই নন্দীগ্রাম কাণ্ড।।এখন সিপিআইএম ঠিক করেছে ওই নন্দীগ্রাম- বামফ্রন্টকে শক্তিশালী করার আহ্বান।
এদিকে উত্থান ঘটে গেছে বিজেপির।। বিজেপির সাথে রাজনৈতিক ঝগড়াতে মেতে রয়েছে তৃনমুল সরকার।। তৃনমুল যখন গেরুয়া বিগ্রেডের সঙ্গে ঝগড়ায় মত্ত তখন বামপন্থী নেতাকর্মীরা একদম ব্লক পর্যায়ে নেমে জনগনের পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং তাঁদের সুবিধা অসুবিধার কথা শুনে তা মেটাবার চেষ্টা করেছেন।। বামপন্থী দলগুলো স্লোগান তোলে “আমরা সরকারে নেই কিন্তু দরকারে আছি” বাঙলা র বামপন্থী রা আবার জেগে উঠতে চাইছে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে।দূর্যোগ এর সময় মানুষ এর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এর যোগান দেওয়া,কমিউনিটি কিচেন চালানো, সবজি বাজার বসানো এবং তা বিনামূল্যে বিতরণ করা ইত্যাদি জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। আবার এক সঙ্গে তাঁরা মানুষকে বুঝিয়ে চলেছেন কেন্দ্র ও রাজ্যের জনবিরোধী কাজ গুলোর কথা। মুল্য বৃদ্ধি,কয়লা বা রেলের বেসরকারিকরণ,বেকারিত্ব, পেট্রোল ডিজেল এর মূল্যবৃদ্ধি এগুলো মানুষকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো।ওই অঞ্চলের বামনেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়াতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।