রাজ্য

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামবাংলায় অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে।


সূপর্ণা রায়:চিন্তন নিউজ:৮ই মার্চ:–পশ্চিমবাংলা এক গরীব রাজ্যে পরিণত হচ্ছে। মানুষের যতটুকু আয় তার সবটাই খরচ হয়ে যাচ্ছে জীবনধারণের জন্য।। আমানত কম তাই গরীব হচ্ছে রাজ্য।। এটাই গ্রাম বাংলার ছবি।। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লাগাতার দাবি করে যাচ্ছেন গত আট বছরে কৃষকদের আয় বেড়েছে তিনগুণ।। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনে নিতে হলে পশ্চিম বাংলাতে কৃষক সংখ্যা ৭২ লক্ষ ।। যদি মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মেনে নেওয়া হয় তবে প্রতি কৃষকের বার্ষিক আয় গড়ে তিনলক্ষ টাকা।। বামফ্রন্ট সরকারের আমল থেকে তৃনমুল পরিচালিত সরকারের আমলে পশ্চিম বাংলার গ্রাম অনেক অনেক ভালো আছে,
এই কথা যদি সত্যি হয় তাহলে গ্রামবাংলার অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে কিন্তু হিসাব অন্য কথা বলছে।। গ্রামের ব্যাঙ্ক গুলোতে আমানত এর সঙখ্যা কমেছে তার সাথে কমেছে ব্যাঙ্ক এর শাখা।।গত দু’বছরের হিসাবে দেখা যাচ্ছে ৩৬৩৪ টি থেকে ব্যাঙ্ক এর শাখা নেমে এসেছে ৩৫৩৩ টিতে।।গত দুই বছরে গ্রামের ব্যাঙ্ক এর শাখা গুলো তে আমানত বেড়েছে ১৯৪৩৩ কোটির কিছু বেশি।।২০১৫_২০১৭ যে এই বাড়ার হার ছিল ২৮০০০ কোটির কিছু বেশি।। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাঙ্কের আমানত বাড়বে কিন্তু পশ্চিম বাংলার গ্রামের ব্যাঙ্কের আমানত কমেছে। এর কারণ মন্দা।। আশঙ্কাজনক ভাবে গ্রামাঞ্চলে মন্দার প্রভাব সর্বাধিক।।

আর পশ্চিমবাংলা গরীব হচ্ছে তার কারণ কোন রাজ্যের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হলো গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতি।। কৃষির বিকাশের একটা সময়ে শিল্পোদ্যোগের কথা ভাবতে হবে এই ছিল বামফ্রন্ট সরকারের নীতি এবং ২০০৬ সালের পর থেকে সেই শিল্পের দিকেই এগোচ্ছিল।। যা গ্রামের কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়তো।।বড় শিল্প কারখানা ছোট ছোট ব্যবসা তৈরি
তে সাহায্য করত।।

একদিকে কাজের সুযোগ তৈরি হত আর এক দিকে উপার্জন বাড়ত।। উপার্জন বাড়লে তার প্রভাব সরাসরি গ্রামের বাজারে পড়ে টাকার লেনদেন বাড়াত যার প্রভাব ব্যাঙ্ক এর আমানতেও পড়ত।। সাইকেল দেওয়ার প্রকল্পে মমতা ব্যানার্জি সরকার বাইরের সংস্থা থেকে সাইকেল কিনে তা বিলি করেছেন এতে করে লাভ হলো বাইরের সংস্থা গুলোর।। যেহেতু কাজের সুযোগ হয়নি, কলকারখানা হয়নি ফলে সাইকেল অর্থনৈতিক বিকাশে কোন কাজে লাগেনি।। গ্রামের মন্দা এখন গ্রাম ছাড়িয়ে শহর_ শহরতলী এসে পড়েছে।।

সুত্রের খবর অনুযায়ী বিভিন্ন আধিকারিক জানিয়েছেন যে মমতা ব্যানার্জি নানা ধরনের নতুন অছিলা বানিয়ে বেশ কিছু টাকা রাজ্যবাসীর একাংশের হাতে তুলে দিতে চাইছেন।। কিন্তু এর ফলে আর্থিক লেনদেন বা কেনাবেচা বাড়ছে না আর তার ফলে অর্থনীতির অগ্রগতি হচ্ছে না।। আমানতের পরিমাণ নামতে নামতে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।