দেশ রাজ্য

আন্তর্জাতিক নারীদিবস নারীমুক্তির দিশারী।


মিতা দত্ত:চিন্তন নিউজ:৮ই মার্চ:–“সবাই মিলে ভাবো,নতুন কিছু করো,নারী পুরুষের সমতায় নতুন বিশ্ব গড়ো। “জাতিসংঘ প্রতিপাদ্য ২০১৯।

আন্তর্জাতিক নারীদিবস(আদি নাম আন্তর্জাতিক কর্মজীবি নারী দিবস),এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারীশ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭সালে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা,কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিনযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা ।সেই মিছিলে চলে লেঠেলবাহিনীর দমনপীড়ন।

পরবর্তীতে শ্রেণী সংগ্রামের লড়াইয়ে নেতৃত্বের অন্যতম জার্মানীর কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মার্কসবাদীতাত্ত্বিক ক্লারা জেটকিন ১৯১০সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে সোস্যাল ডেমোক্রেটিক নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী সন্মেলনে ৮ই মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করার প্রস্তাব দেন। ১৭ টি ১০০জন প্রতিনিধির উপস্থিতিতে কংগ্রেস এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন।সিদ্ধান্ত হয় ১৯১১খ্রীষ্টাব্দ থেকে নারীদের সমঅধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।
১৯৭৫সালে ৮ই মার্চ জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়।
তারপর থেকে পৃথিবীর অনেকদেশই বিভিন্নভাবে দিনটি পালন করে। কোনো কোনো দেশে এই দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বর্তমানে পুৃঁজিপতি শ্রেণি ও তার তল্পিবাহকরা এই দিনটি পালন করে দিনটির মর্যাদা লুণ্ঠিত করছে। যাদের লক্ষ্য নারীকে পণ্যে পরিণত করা,যারা নারীকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, ওনারা অপসংস্কৃতি বাহক, তাদের কোনো অধিকার নেই এই দিন পালন করার।

অনেকে মনে করেন প্রতিকূলতা অতিক্রম করে যারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পায় তাদের জন্য এই দিনটি। নারীরা যারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন তারা এই ব্যবস্থার দ্বারা আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা।কেউ মুক্ত নয়। প্রতি পদে পদে বাধা।
তাই আসুন এইদিনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে এই ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে হবে। ক্লারা জেটকিনের অনুগামী হই।

আজ মুর্শিদাবাদ জেলা গণতান্ত্ৰিক মহিলাসমিতি মিছিলের মাধ্যমে দিনবদলের আহ্বান জানায়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।