রাজ্য

তাহাদের কথা


রঘুনাথ ভট্টাচার্য্য:চিন্তন নিউজ:৮ই ফেব্রুয়ারি:–অয়ঙ্আরম্ভঙ্ শুভায় ভবতু।শুরু হল রাজ‍্য বিধানসভার অতি গুরুত্বপূর্ণ বাজেট অধিবেশন। এ বড় কঠিন সময়। সবার মনেই কী হয় কী হয় ভাব। কারন, খবরে প্রকাশ, মাননীয় রাজ‍্যপাল সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন,” সরকার রাজ‍্যপালের ভাষণের মাধ‍্যমে নিজের নীতি বলতে পারে। কিন্তু আমিও আমার প্রস্তাব দিতে পারি। আমি সরকারের ভাষণ পাঠ ক’রব, কিন্তু নিজের প্রস্তাবও দেব। আমার ভাষণে সরকারের বক্তব‍্যের ওপর টিপ্পনী থাকবে। প্রয়োজনীয় অংশে নিজস্ব পর্যবেক্ষণ ও মতামত জানাব।”

বিশেষজ্ঞদের মতে এটা সর্বতোভাবে সংবিধান বিরোধী।বিধি অনুযায়ী , তিনি’অনুমোদিত’ ভাষণ ছাড়া আর কিছুই বিধানসভায় পাঠ করতে পারেন না। সে যাই হোক, মাননীয় রাজ‍্যপাল যদি বিধানসভার মধ‍্যেই তাঁর এই কর্মসূচি পালন করার উদ‍্যোগ নেন তবে তা সদস‍্যদের তীব্র বাধা তথা সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারে, যেটা রাজ‍্যপাল পদের পক্ষে অপমানজনক হয়ে উঠতে পারে। আবার, তিনি যদি সভার বাইরে এ কাজ করতে যান তবে তাকে শাসক দলের রাজনৈতিক মোকাবিলার কারন হতে পারেন,যা ইতিমধ্যেই বিতর্কিত রাজ‍্যপালের পক্ষে বাঞ্ছিত নয়, যদি না তার অন‍্য কোনো উদ্দেশ্য না থাকে।।

এব‍্যাপারে রাজনৈতিক মহলে ভিন্ন ভিন্নমতের কথা শোনা যাচ্ছে। কোনো কোনো মতে বিধানসভায় লিখিত ভাষণ পড়ার পরে কিছু কিছু বিষয়,যেমন , রাজ‍্যের আইনশৃঙ্খলা,
নারীসুরক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি, প্রভৃতি, যে যে ব‍্যাপারে তিনি ইতিমধ্যেই অন‍্যত্র তাঁর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, সেগুলো সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলনে বা প্রেস বিবৃতির সাহায‍্যে বলতে পারেন।

বিধানসভার স্পিকার বলেছেন যে, তিনি আশা করেন মাননীয় রাজ‍্যপাল দেশের সংবিধান ও বিধানসভার বিধি মেনেই তাঁর ইতিকর্তব‍্য স্থির করবেন।এই অভূতপূর্ব পরিবেশে​ ,রাজ‍্যের মানুষ উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, এই পর্ব কী
পরিণতি পায়।

রাজভবন থেকে যথারীতি এক বিবৃতিতে জানান হয়েছে
যে, মন্ত্রীসভার খসড়া প্রস্তাবে রাজ‍্যপাল কিছু পরিবর্তন ও সংযোজন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু তা সরকার পক্ষের সম্মতি পায়নি। ঐদিন রাজ‍্যপালকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, পূর্বের খসড়াই চূড়ান্ত।

সুত্রের খবর, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী রাজ‍্যপাল কোনো
মতেই সংবিধান লঙ্ঘনের পক্ষপাতী নন। কোনো পক্ষেরই বিচ‍্যুতি তিনি মানবেন না।টিপ্পনী শোনা যাচ্ছে, দেশের
উন্নয়ন যখন স্তব্ধ , অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত,আইনশৃঙ্খলা বিস্রস্ত, তখন পরিবেশ আরও ঘোলাটে করে তুলে কোনো জনকল‍্যানকর উদ্দেশ্যই সাধিত হবে না।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।