বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ফ্যাকাশে হচ্ছে পৃথিবী, জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে গবেষকদের আশঙ্কা প্রকাশ


সুপর্ণা রায়: চিন্তন নিউজ:২রা অক্টোবর:– নীল গ্রহকে ঘিরে যে দ্যুতি বিচ্ছুরিত হতো তা আজ অনেকটাই ম্লান। কুড়ি বছর আগে পৃথিবীর যে রূপ ছিল তা অনেকটাই গেছে বদলে।জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে এক গবেষনা পত্রে গবেষক রা এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। পৃথিবী যে নীলাভ রং এর চাকচিক্যে ঝলমল করতো তা অনেকটাই স্থিমিত। এখন পৃথিবীতে যে আলো আসে তা পৃথিবীর প্রতি বর্গমিটারে হাফ ওয়াটেরও কম। ফ্যাকাশে হচ্ছে পৃথিবী। বাড়ছে গ্রীন হাউস গ্যাসের দাপট। রূপ হারাচ্ছে পৃথিবী যার প্রধান কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন।এমন দুঃসংবাদ দিচ্ছেন গোটা বিশ্বের পরিবেশ বিদ ও গবেষক রা।হয়তো কিছু বছর পর ঐ নীলাকাশ বা নীলাভ সমুদ্র আর থাকবে না, সব ঢেকে যাবে ধূসরতায়।সমুদ্রের জলের উষ্ণতা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে।একধরনের সামুদ্রিক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র প্রানী ফাইটোফ্ল্যাক্টন রা সূর্যের বিভিন্ন রং শুষে নেয় তাই সমুদ্রের জলের রং হয় নীল কিন্ত এই প্রজাতীর প্রানী যদি অন্য প্রজাতী তে বদলে যায় তবে সূর্য থেকে আসা আলো আর শুষতে পারবে না ফলে ধূসর হবে সমুদ্রের জল। পৃথিবীর তাপমাত্রা ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়ে চলেছে তাতে এক ভয়ানক দিন আসতে চলেছে। গবেষক ও পরিবেশবিদ দের ধারনা পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ও১.৫ ডিগ্রী বাড়তে পারে।বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস বাড়ছে তাই দূষণ ও বাড়ছে।আর এর ফলে ২১০০ সালের মধ্যে এক মহা বিপর্যয় নেমে আসবে।আ্যান্টারটিকার হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। এতে বাড়বে সমুদ্রের জলস্থর।পশ্চিম আ্যান্টারটিকার উপকুলের দুটি বিশাল হিমবাহ গলতে শুরু করেছে যখন পুরোপুরি গলে যাবে তখন সমুদ্রের জলস্থর অন্তত পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদ রা। গবেষকদের মত ভাইরাস থেকে বাঁচা যাবে কিন্তু প্রকৃতির রোষ থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই এখনো সতর্ক না হলে।পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। প্রায় ই শোনা যায় দাবানলের খবর। এলাকার পর এলাকা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। উত্তর সাইবেরিয়া, আলাস্কা, মেরুপ্রদেশ ,গ্রীনল্যান্ড দাবানলের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ধোঁয়া আর ছাই তে বদলে যাচ্ছে আকাশের রং ধোঁয়াটে হয়ে যাচ্ছে ,আগুনের ফুলকি ছিঁটকে বেরোচ্ছে। তাপমাত্রা এতটাই বেড়েছে যে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ গলতে শুরু করেছে। এই হিমবাহ যদি গলে যায় স্থলভাগের অনেকটাই জলগর্ভে চলে যাবে। সচেতন যদি না হ ওয়া যায় তবে ২০৫০ সালের মধ্যে বহুমানুষ প্রাণ হারাবে।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।