বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

‘ট্রেন্ড’


মিঠুন ভট্টাচার্য্য: চিন্তন নিউজ:১০ই জুন:-চলতি কথায় প্রচলিত , কিন্তু যদি আজকের জেনারেশনে যারা ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াতে খুব বেশি একটিভ তাদের খবর রাখেন তাহলে জানতে পারা যাবে ট্রেন্ড এর ট্রেন্ড কত দূর বিস্তৃত।

যেমন বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ট্রেন্ড নাকি হয়তো তৃণমূল না হয় বিজেপি , হবে নাই বা কেন , প্রথাগত আজকের দিনের ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত মিডিয়া পুঁজিবাদী ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছে নির্দ্বিধায় , বিজ্ঞাপনের ঝকমকে আলোতে পরিযায়ী শ্রমিকের দুর্দশা হোক কিংবা চা-বাগানের না খেতে পাওয়া শ্রমিকদের খবর চাপা পড়ে যায় প্রদীপের নিচের অন্ধকারে , তথাকথিত ভারতবর্ষের চতুর্থ স্তম্ভের মিডিয়ারা সে খবর খুঁজেই পায়না , যার দরুন যে রাজনৈতিক দলগুলো মূলত বামপন্থীরা মানুষের সাধারণ জীবন-জীবিকার দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে চায় তাদের খবর সামনে আসে না।

এই যেমন যারা টুইটার ফলো করেন তারা জানবেন টুইটারে #হ্যাশট্যাগ ব্যবহারকারী যে কোনো কোটেশন যখন অনেক বেশি ব্যবহার হয় সেটাকে বলা হয় ট্রেন্ড , গতকাল টুইটারের দেয়াল দখল করে থাকলো #LalSalamComrade লেখা নিতান্তই সাধারণ একটি স্লোগান।

বিকেল চারটে থেকে ৩ ঘন্টায় প্রায় ৩৬ হাজারের ওপরে এই কোটেশন টি পোস্ট করা হয়েছে টুইটার হ্যান্ডেল থেকে যা সারা ভারতবর্ষের সর্বাধিক , কিন্তু আপনি এটা জানতে পারেননি , কারণ দেশের বেশিরভাগ মানুষ যারা কিনা দুবেলা অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা টুইটার অনেকটা ভিনগ্রহের প্রাণী দেখার মতো , শিলিগুড়ি নিবাসী একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এ বিষয়ে জানালেন আসলে এই দেশটা নাকি দুই ভাগে বিভক্ত একদিকে কিছু মানুষের চমকতা ভারত আরেক দিকে বৃহৎ অংশের মানুষের তড়পতা ভারত যদি এদেশের সরকার এই দুই শ্রেনীর মেলবন্ধন ঘটাতে না পারে তাহলে আগামী দিনে এই দেশের মৃত্যু-মিছিল কোনোভাবেই আটকানো সম্ভব নয়।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।