সন্দীপন দত্ত: চিন্তন নিউজ: ১৩/১০/২০২২:- মহাকাশে অবস্থিত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ অনবরত তার ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে অজস্র নানান গ্রহ ও গ্যালাক্সির ছবি তুলে যাচ্ছে। যার ফলে মহাকাশ বিজ্ঞানের নানান জানা অজানা তথ্য মানুষের হাতে আসছে। পাশাপাশি উঠে আসছে নানান প্রশ্ন। সাথে তৈরী হচ্ছে নানান জল্পনা কল্পনা ।
বিখ্যাত নোবেলজয়ী পদার্থবিদ ক্রিপ থ্রন বলেছিলেন, “যদি আমাদের মহাকাশকে বুঝতে হয় তাহলে আমাদের নিউটনের উত্তর এবং স্টিফেন হকিং এর প্রশ্নগুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে।” টেলিস্কোপটি ধীরে ধীরে যেন সেই পথেই অগ্রসর হচ্ছে।
টেলিস্কোপটি অনবরতই আমাদেরকে মহাবিশ্বের পুরোনো ছবি গুলি পাঠিয়ে যাচ্ছে, যেগুলি প্রায় ১৩ বিলিয়ন বছর পুরোনো।অনেকের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে টেলিস্কোপটি অতীতের ছবি কি করে তুলতে পারে। সেটা বোঝার জন্য আগে বোঝা দরকার আমরা কোনও জিনিস দেখি কিভাবে। কোনো বস্তুর দিকে তাকালে বস্তুটি থেকে আলো আপতিত হয় আমাদের চোখে, তারপর আলোটি প্রতিফলিত হয়। তখন আমরা বস্তুটিকে দেখতে পাই। যেমন , সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে আট মিনিট , অর্থাৎ সূর্য যদি কোন কারণে অদৃশ্য হয়ে যায় তাহলে তা আমাদের বুঝতে আট মিনিট লেগে যাবে। তেমনি বিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত গ্রহ নক্ষত্রদের দেখতেও আমাদের সময় লাগবে বিলিয়ন বছর।
টেলিস্কোপটি থেকে শেষ যে ছবিটি এসেছে সেটা নেপচুন গ্রহের ছবি, এবং এটি হাবেল টেলিস্কোপের তোলা ছবির তুলনায় ঢের স্পষ্ট।
আরো কত কী বিস্ময় প্রকাশ পাবে তা নিয়ে উদগ্রীব বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল।