বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

মহাকাশের_মহাবিস্ময়


অনামিকা দে:চিন্তন নিউজ:৬ই জুন:- কি আছে ওই মহাকাশের ওপারে..?জানতে কে না চায়..? যুগ যুগ ধরে মানুষের অনেক কৌতূহল অনেক জিজ্ঞাস্য ওই মহাকাশ ঘিরে। .তেমনই একটি কৌতূহলের নাম – গ্রহণ (eclipse)।

যখন সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একটি সরলরেখায়
সারিবদ্ধ হয় বা প্রায় সোজা আপেক্ষিক অধিষ্ঠান গ্রহণ করে, তখন আমরা পৃথিবীর অবস্থানের উপর নির্ভর করে সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ দেখা যায়।..

যখন চাঁদ পৃথিবী আর সূর্যের মাঝামাঝি আসে তখন পৃথিবীতে চাঁদের ছায়া ছড়িয়ে পড়ে এবং তারফলে পৃথিবীতে আসা সূর্যালোক আটকে যায় তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে..এভাবেই যখন পৃথিবী সূর্য ও চাঁদের মাঝামাঝি অবস্থান করে তখন সূর্যের রশ্মি সরাসরি চাঁদে পৌঁছতে বাঁধা প্রাপ্ত হয়, তখন চন্দ্রগ্রহণ ঘটে।

সাল ২০২০, নতুন বছরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, মহামারী, ভাইরাস নিয়ে জর্জরিত হয়ে ইতিমধ্যেই মানুষ নানা অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন.. তেমনই এবার মহাকাশেও ঘটতে চলেছে এক অভূতপূর্ব ঘটনা.. জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন :- একই মাসে চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের মত বিরল একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে মানুষ। যা আগে কখনও ঘটে নি।

এ বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ ৫ ই জুন হয়ে গেছে.. এই চন্দ্রগ্রহণ ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া,আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর,আটলান্টিক, ভারত মহাসাগর সহ বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান হয়েছে..৫ ই জুনের চন্দ্রগ্রহণ’টি ছিলো ‘উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ’, যাতে পৃথিবীর মূল ছায়া চাঁদকে আবৃত করে না..!

সূর্য গ্রহণের সময় যদি চাঁদ পৃথিবী থেকে অনেক
দূরে অধিষ্ঠান করে সেক্ষেত্রে চাঁদের ছায়া পৃথিবীতে পৌঁছতে পারে না আর সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারে না, তার ফলে সেই সময় চাঁদ দ্বারা যেটুকু আবৃত হয় সেই স্থানটুকুর চারপাশে সূর্যের অস্তিত্বকে জ্বলন্ত বলয়ের মতো দেখা যায়,তখন ঘটে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ..আগামী ২১ শে জুন রবিবার যে গ্রহনটি দেখতে চলেছে পৃথিবীর মানুষ, তা একটি একটি ‘বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ’।

এ বছরের বলয় গ্রাস সূর্যগ্রহণ যথাক্রমে এশিয়া, আফ্রিকা, প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের বেশিরভাগ এলাকা থেকে দেখা যাবে, জানা গেছে, এটি ভারতেও দৃশ্যমান হবে..ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার বেশ কিছু এলাকা
২০২০ সালের এই সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে..

গত ৫ ই জুনের বিস্ময়কর চন্দ্রগ্রহণের পর আগামী ২১ শে জুনের সূর্যগ্রহণ নিয়ে আরও একবার মহাজাগতিক মহাবিস্ময়ের সাক্ষী থাকতে যারপরনাই উৎসাহী, আগ্রহী এবং অবশ্যই কৌতূহলী জ্যোতির্বিজ্ঞানী থেকে আমজনতা সকলেই।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।