দেশ রাজ্য

করোনা মহামারী থেকে আমফান, – ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে বামমনস্ক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলি


নিউজ ডেস্ক :চিন্তন নিউজ:৬ই জুন:–করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র সম্পূর্ণ লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। কয়েক মিলিয়ন দৈনিক কাজের ভিত্তিতে উপার্জনকারী চাকরির বাইরে, কোনও সঞ্চয় বা খাবার পাওয়ার উপায় নেই। গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিদেশ থেকে সহায়তা পেয়ে চারুবালা আচার্য্য মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন পশ্চিমবঙ্গের শহরতলির এবং গ্রামীণ অঞ্চলে শতাধিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে মৌলিক খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করে তাদের সাহায্য করার পদক্ষেপ নিয়েছে। এবং ২২ শে মে ২০২০ সাল থেকে আর‌ও একটি নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে -এই সংস্থাটি। একটি কম্যুনিটি কিচেন যা সুন্দরবনে প্রতিদিন ৫০০জনকে খাওয়ানোর ক্ষমতা সম্পন্ন।

এই সংস্থার। কর্ণধার অর্ণব আচার্য্য জানান, সংস্থার লোকেরা স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করার সময় কেবল জ্বালানী সাশ্রয় করেন তা নয়, স্থানীয় অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করেন। এই রান্নাঘরটি চালিয়ে যেতে, চারুবালা আচার্য্য মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন সংস্থার প্রচুর অর্থের দরকার। দিনে মানুষ প্রতি খাবারের জন্য প্রায় ৩৫ টাকা খরচ হয়। সর্বস্তরের মানুষের সাহায্য না পেলে এই মহতি কর্মযজ্ঞ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।
আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবন এলাকায় এখনও অবধি চারুবালা আচার্য্য মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ১৫টি গ্রামে সাধ্যমতো কাজ করতে পেরেছে ! কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বিশাল !

গতকাল তাঁদের কাজের ১২ দিন শেষ হলো ! গতকাল , চারুবালা আচার্য্য মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে যাওয়া হয়েছিল সুন্দরবনের দুটি গ্রামে – সত্যদাসপুর এবং কৃষ্ণদাসপুর !ব্লক- পাথরপ্রতিমা,ও গোবর্ধনপুর কোস্টাল, এই সংস্থার সদস্য মিঃ সৌরভ ও তাঁর বন্ধুরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তাঁদের গ্রাম এবং চারপাশেগ্রামগুলির মানুষের সেবায় ! আজ শেষ দিনের কর্মসূচী। পরবর্তীতে এগোনোর সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সামর্থ্য না থাকায় এগোনো যাচ্ছে না, বলে জানান এই সংস্থার কর্ণধার অর্ণব আচার্য্য।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।