জেলা রাজ্য

গাব গাছে ডাব হয় না


সঞ্জীব বর্মণ: চিন্তন নিউজ: ৭ই জুন:- কোয়ারেন্টিন সেন্টারে নিম্নমানের খাবার আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা নিয়ে বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ হচ্ছে। জানা গেল এ সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে নিজের কেন্দ্র (বীরভুূম ) ছেড়ে “কোথাও আমার হারিয়ে যেতে নেই মানা”য় বিশ্বাসী মাননীয়া সাংসদ শতাব্দী রায় নাকি বলেছেন, “কোয়ারেন্টিন সেন্টারে এত হাজার হাজার লোক সবাইকে জামাই আদর দেওয়া সম্ভব নয়”। অপূর্ব !! অসাধারণ !! এই না হলে আবার প্রকৃত জনদরদী জনপ্রতিনিধি কিসের !!!

শুধু বীরভূম নয় পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে অনিচ্ছুক স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর সম্পূর্ণ অপ্রস্তুত প্রশাসনের দৃষ্টান্তমূলক অপদার্থতায় সারা রাজ্যের কোয়ারেন্টিন সেন্টার গুলোতেই কার্যত নরক যন্ত্রণা। কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেড়িয়ে পরার ভয়ে এই নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের প্রায় সকলেই যখন শুধু নীরব থাকাকেই বাঁচবার সঠিক পথ ধরে নিয়েছেন তখন বীরভূমের মাননীয়া সাংসদ ভুল করে হঠাৎ কি মনে করে বীরভূমে হাওয়া খেতে এসে সাহস করে এই নরককে বৈধতা দিয়ে তবুতো কিছু একটা বললেন! প্রজা জনগণ, পরিযায়ী শ্রমিক, ভাই বন্ধুদের হতভাগ্য পরিবারের সদস্য, সদস্যা গণ রেগে যাবেন না, দুঃখও পাবেন না, অসহায় মানুষের দুর্দশাকে এইভাবে কি উপহাস করা যায় তাও আবার একজন নির্বাচিত জন প্রতিনিধি হিসাবে এই ভেবে অবাক হবেন না।

মনে রাখবেন গাব গাছে ডাব ধরে না, আর আমড়া গাছে আম ফলানোর চেষ্টা করলে ফল এই রকমই হয়। বরং আসুন, ক্রীতদাস আমরা, সবাই মিলে মহানন্দে কষে হাততালি দিই। হাততালি দিই, কারন মাননীয়া সাংসদ শতাব্দী রায় একটা বিরাট সত্যিকে আমাদের সামনে বিশালাকায় সত্যির চেহারা দিয়েছেন। হঠাৎ এসে বীরভূম বাসীকে বঞ্চিত করেন নি, শিখিয়েছেন — অসভ্যতা, অভব্যতা, অশ্লীলতা বৃষ্টি হয়ে ঝরেনা, হঠাৎ ঝরে আম হয়ে পরে না, গভীরতর অন্ধকারের উপাসক বিশেষ প্রজাতির রাজনৈতিক প্রাণীকূলের অসীম কৃপাতেই এই মণি মাণিক্য গুলি রাজনৈতিক সংস্কৃতির তৃনমূলে স্থায়ী আসন প্রাপ্ত হয়।
————


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।