মিঠুন ভট্টাচার্য: চিন্তন নিউজ:১লা আগস্ট:- সেই অধিকার পল্লী , অধিকার অর্জনের লড়াই করে যারা মিনি সচিবালয় ” উত্তরকন্যা ” তৈরির জন্য নিজস্ব জমি দান করে অন্য জায়গায় বসতি স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছিলেন ।
এবার সেই এলাকায় বসতি লাগোয়া একটি গোডাউনের দেয়াল ভেঙে মৃত্যু হলো এক যুবতীর এবং গুরুতর আহত যুবতীর মা এই মুহূর্তে ‘নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল’ এ মৃত্যুর সাথে কঠিন লড়াই করছে। ঘটনায় প্রকাশ অধিকার পল্লী লাগোয়া বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে শিলিগুড়ির এক শিল্পপতির বেশ কয়েকটি গোডাউন যে গোডাউন গুলি এমন অবস্থায় রয়েছে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে এবং এই বিষয়ে আমাদের সংবাদমাধ্যমে একসময় ধারাবাহিক সংবাদ প্রচার হয়েছে , সেই আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণিত করে গতকাল রাতে গোডাউন এর একাংশ ভেঙে পড়ে যায় , যার দরুন ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেকগুলো বাড়ি ,
এই বিষয়ে এলাকাবাসীরা শুরু করে জোরদার আন্দোলন , তাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এত বড় জমিতে কি করে নিয়মবহির্ভূতভাবে এত উচু উচু বিল্ডিং তৈরি হয় যে বিল্ডিং গুলোকে দেখেই বোঝা যায় নকশাতে রয়েছে প্রচুর গলদ , স্থানীয় ভিত্তিতে যতদুর জানা গিয়েছে এই গোডাউন গুলোতেই কমার্স ও লজিস্টিক কোম্পানি গুলোর কাজ হয়ে থাকে , কিন্তু প্রশ্ন সব মিলিয়ে নয়টি গোডাউনে হাজারের ওপরে কর্মী কাজ করলেও এমন দুর্বল ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে যখন বিল্ডিং গুলো তৈরি হলো কোন ইঞ্জিনিয়ার সেই প্লান পাস করেছিল ? কিংবা কোন পদ্ধতিতে ট্রেড লাইসেন্স বন্টন থেকে শুরু করে সমস্ত কাগজপত্র তৈরি হয়েছিল? উত্তর নেই কারো কাছে ,
আজ ঘটনাস্থলে স্থানীয় নেতৃত্ব ঢুকতে গেলে জনগণের সঙ্গে তৈরি হয় তীব্র বচসা ছুটে আসতে বাধ্য হন নিউ জলপাইগুড়ি থানার ওসি এবং রাজগঞ্জ এর বিডিও নিজে , প্রশ্ন ওঠে যে এলাকার খোঁজ বছরভর কেউ নেয় না , কয়েক বছর থেকেই গোডাউন গুলো নিয়ে নানান অভিযোগ থানা পুলিশ হয়েছে বেশ কয়েকবার, এমনকি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদী তার সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়া বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া এরকম বিভিন্ন কারণে যখন লাগাতার স্থানীয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন , পথ অবরোধ করা হয়েছিল স্থানীয় মানুষদের পক্ষ থেকে কোনো এক সময়, কিন্তু সেই সময় প্রশাসন থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিস কিংবা প্রশাসনের কোনো কর্তাব্যাক্তিদের টিকির দেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি , কিন্তু আজ যখন এতসবের পরে একজন নিরীহ যুবতীর প্রাণ চলে গেল এবং আরেকজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সেই সময় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই প্রশাসনিক আধিকারিকরা স্থানীয় এলাকায় এসে পৌঁছেছেন বলে বহু মানুষের অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং এই গোডাউন সমূহ ভেঙে সরিয়ে না দিলে এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে ব্যাপক আন্দোলন করা হবে , এই মুহূর্তে এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা মোতায়েন করা হয়েছে রেফ এবং কমব্যাট ফোর্স এর জওয়ান দের।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণসহ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলোকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে সেইমতো বিডিও সাহেবের নির্দেশে ফুলবাড়ী এক অঞ্চল থেকে ত্রিপাল এবং শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসীর কথা অনুযায়ী এগুলো সবটাই লোক দেখানো এবং মামলা ধামাচাপা দেওয়ার পদ্ধতি ছাড়া কিছুই নয়।