মীরা দাস: চিন্তন নিউজ:২রা জুলাই:- তিন বছর ধরে প্রচুর চেষ্টা করেও ক্রেতাদের মন কাড়তে পারেনি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাব, অনেক বার বন্ধ হয়েছিল, প্রশাসনের উদ্যোগে আবার খুলেও ছিল, তাতে কিছু লাভ হয় নি, তাই এবার পাকাপাকি ভাবেই বন্ধ হতে চলেছে মিষ্টি হাব।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা মনে করছেন ভুল পরিকল্পনার জন্যই বর্ধমানের এই মিষ্টি হাব ক্রেতা টানতে পারেনি । এ রাজ্যের মিষ্টি প্রচুর বৈচিত্র্যের সমাহার । নানা উৎকৃষ্ট সব মিষ্টির কারনে বিভিন্ন জেলার বিখ্যাত সব মিষ্টিকেই একই ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এবং তাঁর ইচ্ছার পুরনে দু’ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে তড়িঘড়ি করে বামচাঁদাইপুরে বেশ কয়েককোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি হয় মিষ্টি হাব।
বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানা, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, নবদ্বীপের লাল দই, জয় নগরের মোয়া, সবকিছু ই এই স্টলে পাওয়া যেত।
২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীর মিষ্টি হাব উদ্বোধন করেন, কিন্তু এই হাব ক্রেতাদের কাছে কোনদিন আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে নি, যার ফলে ২৫ টি দোকান তালাবন্ধ হয়ে পড়ে আছে। প্রশাসনের ভুল পরিকল্পনার ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে মনে করছেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। ব্যাবসায়ীরা বলছেন শহরের বাইরে জনবসতিহীন এলাকায় তৈরী হয় এই হাব। শুধু মিষ্টি বিক্রি নয়, উন্নত পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া, মিষ্টির গুনগত মান যাচাই, প্যাকেজিংয়ের গবেষণাগার হওয়ার কথা ছিল সে সব এখন বিশ বাঁও জলে, শুধু অর্থ নয় বহু সময় নষ্ট হলো।
এখন জেলা প্রশাসন মিষ্টি হাব শক্তিগড়ের ল্যাংচা দোকানগুলির মাঝে নিয়ে যেতে চাইছেন, কারন ল্যাংচা দোকানের মাঝে মিষ্টিহাব থাকলে বিক্রিবাট্টা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসন।