কাকলি চ্যাটার্জি: চিন্তন নিউজ:২রা জুলাই: বেসরকারিকরণের পথে আরও একধাপ এগিয়ে ১৫০ টি ট্রেন চালাতে বেসরকারি বিনিয়োগে স্বাগত জানালো রেলমন্ত্রক। বেসরকারি ক্ষেত্র প্রায় ৩০০০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে বাধ্য হবে এবং একবার রেল চলাচলের অনুমতি পাওয়ার পর প্রকৃত খরচ অনুযায়ী বিদ্যুতের চার্জ দিতে বাধ্য থাকবে।
গতকাল ভারতীয় রেল জানিয়েছে ১০০ টি নির্বাচিত রুটে ১৫১ টি আধুনিক যাত্রী ট্রেন চালানোর অনুমতি দিয়েছে রেলদপ্তর। জাতীয় পরিবহনে সরকারি একচেটিয়া আধিপত্য শেষের পথে, ভীড় বাড়তে থাকবে বেসরকারি বিনিয়োগের। এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হ’ল রক্ষণাবেক্ষণ ও সময় হ্রাস, চাকরি মানোন্নয়ন, উন্নত সুরক্ষা সহ যাত্রীদের বিশ্বমানের পরিষেবা প্রদান। শুরু হবে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। রেলমন্ত্রক জানায় আধুনিক কোচগুলির সিংহভাগ নির্মিত হবে ভারতেই, বেসরকারি সংস্থাগুলো অর্থপ্রদান, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবে। প্রকল্পের ক্ষেত্রে ছাড়ের সময়সীমা ৩৫ বছর, নির্ধারিত ভাড়ার ওপর চার্জ, খরচ অনুযায়ী ইলেকট্রিসিটি চার্জ ও মোট আয়ের একটা অংশ দিতে হবে।
ট্রেনগুলির সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ১৬০ কিমি। ট্রেনের গতিবেগ সংশ্লিষ্ট রুটে চলাচলকারী ভারতীয় রেলের দ্রুততম রেলের সমান বা অধিক হতে হবে। এই ট্রেনগুলি ভারতীয় রেলের চালক এবং রক্ষী দ্বারা পরিচালিত হবে। ট্রেনগুলিতে মিনিমাম ১৬ টি বগি থাকবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য থাকবে বিশেষ সুব্যবস্থা। প্রথমে দিল্লি থেকে চেন্নাই, দিল্লি থেকে মুম্বাই, দিল্লি থেকে পাটনা, শালিমার থেকে চেন্নাই এরকম কয়েকটি রুটে চলাচল শুরু করবে এই ট্রেন। বেসরকারি সংস্থা কর্তৃক চলাচলকারী ট্রেনগুলিতে সময়, নির্ভরযোগ্যতা, ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদির মত জিনিসগুলিকে পারফরম্যান্স এর মাপকাঠিতে বিচার করা হবে।