কলমের খোঁচা

মে দিবস এর তাৎপর্য


প্রতিবেদন : মিতা দত্ত: চিন্তন নিউজ: ১লা মে:–
“The day will come when our silence will be more powerfull than the than the voices you are throttling today .”উক্তিটি বিনা অপরাধে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত এক ব্যক্তির, যিনি শিকাগো শহরের হে মার্কেটে শ্রমিকদের ন্যায্য দাবীতে – আট ঘণ্টা কাজ , কাজ অনুপাতে মজুরী ও কাজের সুস্থ পরিবেশ, পথে নেমেছিলেন।

কাগজে কলমে দাস ব্যবস্থার অবসান হলেও নতুন দাস তৈরিতে মালিকরা মতে উঠেছিলো। তারই বিরুদ্ধেই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জড়ো হয়েছিলো ।একই পতাকা তলে দাঁড়িয়ে আপোষহীন সংগ্রামের কথা ঘোষিত হয়েছিলো ১৮৮৬ সালে ১ লা মে হে মার্কেটে ।শাসকের পোষা বাহিনীর কাছ থেকে জুটেছিলো দানবীয় আক্রমণ। দেওয়া হয়েছিলো ফাঁসি। তবুও দমানো যায় নি এই প্রতিবাদ। পরবর্তীতে এই দিনটি হয়ে যায় শ্রমিকদের একত্রিত হয়ে অধিকার আদায়ের দিন।পৃথিবীর অনেক দেশ এই দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালন করে।

কিন্তু বিশ্বায়নের যুগে শ্রমিকদের অধিকার ভূলুণ্ঠিত। গোদের ওপর বিষফোঁড়া এসে করোনা ভাইরাস। আধা ধনতান্ত্রিক ও ধনতান্ত্রিক সব দেশ শ্রমিক ছাটাইয়ের মাধ্যমে বিপর্যয়ের মোকাবিলা করতে চাইছে।সংঘটিত ও অসংঘটিত কোন শ্রমিকের কোনো নিরাপত্তা নেই।

এই ব্যবস্থায় প্রান্তিক মানুযের কোনো নিরাপত্তা নেই। তাই তো ভারতবর্ষের মানুষের ভোটদানের অধিকার থাকলেও স্বাস্থ্য, শিক্ষার অধিকার নেই। আজ মে দিবস উদযাপন – সেইসময় চলছে অক্সিজেনের হাহাকার। সরকারের কোনো হেলদোল নেই।

তাই এই দিনে অধিকারহীন মানুষের অধিকার বুঝে নেওয়ার জন্য শপথ নেওয়ার দিন।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।