রাজ্য

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বর্ধমানের কমিউনিস্ট ছাত্রযুবর ভূমিকা।


কল্পনা গুপ্ত, চিন্তন নিউজ – চতুর্দশ শতকে ইউরোপে মহামারী আকার নিয়েছিলো প্লেগ, যা ইতিহাসে ‘ব্লাক ডেথ’ নামে পরিচিত। প্রায় ২০ কোটি মানুষ মারা গিয়েছিল সেই মহামারীতে। ভেনিস কর্তৃপক্ষ নিয়ম জারি করেছিল বন্দরে জাহাজ ভীড়লে যাত্রীদের সমুদ্রে ৪০ দিন জাহাজেই থাকতে হবে। ৪০ সংখ্যাকে ইটালিয়ান ভাষায় বলা হয় কোয়ারানতা আর অপেক্ষার সময়টিকে কোয়ারানতিনো। তখন থেকেই সংক্রামক রোগের আশংকায় কাউকে আলাদা করে রাখাকে কোয়ারান্টিন বলে।

সারাবিশ্ব এখন কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রমনে এক যুদ্ধকালীন অবস্থার মধ্যে দিয়ে চলেছে। ভারতেরও দরজা খুলে ঢুকে পড়েছে এই মারণ ভাইরাস। এখানেও চলছে ছায়াযুদ্ধ। যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। হলিউড মুভি ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে’ র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।

রামভক্তরা যখন গোমূত্র পান করে দু’ঘন্টা রোদে বসে করোনা ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছে কোন সচেতনতার কাজে লিপ্ত না হয়ে, ঠিক তখনই বর্ধমানের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যরা, ছাত্রযুবরা জনসচেতনতার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেন জীবনের ঝুঁকির কথা না ভেবেই।

বর্ধমান শহরের ৯ নং ওয়ার্ডে ধাংড়পাড়া,১০ নং হিন্দুস্থানি পাড়া, ২৫ নংএ আঞ্জীরবাগান,৭ নংএ আমপাড়া প্রভৃতি এলাকায় এস এফ আই ও ডি ওয়াই এফ আইয়ের পক্ষ থেকে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে। বহু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা এই দৃষ্টান্তমূলক কাজে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন যাতে সাবান ও প্রচার পুস্তিকা বিলি করা যায়। সংগঠনের পক্ষে বর্ধমান শহর ১নং এরিয়া কমিটির সম্পাদক সোহম কুমার ঘোষ এবং সভাপতি অঞ্জন দত্ত এই অভিযানে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সংগঠনের কর্মীরা চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা করেছেন। একই সংগে যারা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও লাল সেলাম জানিয়েছেন।

জয় শ্রীরাম বলে বা ভারতমাতার জয় দিয়েই দেশপ্রেমী হওয়া যায় না। বামপন্থী ছাত্রযুবরা যেভাবে করোনা সচেতনতায় যেভাবে প্রচার করছে তা দৃষ্টান্তমূলক। যখন মানুষকে গৃহবন্দী থাকতে হচ্ছে তখন ঝুঁকি পূর্ম এই কাজ একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কাজ। লাল সেলাম কমরেফদের।যারা গোমুত্র খাবার তারা খাক আর বিজ্ঞান সচেতনতার কাজ চালিয়ে যাক বামপন্থী তরতাজা ছেলেমেয়েরা। একেই বলে দেশপ্রেম।


মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।